সেনার টহল জম্মু ও কাশ্মীরে। ছবি: পিটিআই।
জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা রক্ষী এবং জঙ্গিদের মধ্যে আবার শুরু হল গুলির লড়াই। উপত্যকার তিন জায়গায় ‘এনকাউন্টার’ চালাল সেনার তিনটি পৃথক দল। সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে তিন জঙ্গি। বাকি জঙ্গিদের নিষ্ক্রিয় করতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলছে অভিযান।
বুধবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় দু’পক্ষের অসম সংঘর্ষ। এখনও পর্যন্ত কুপওয়াড়া জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছে দু’টি এনকাউন্টারের খবর পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়া গুলির লড়াই চলেছে রাজৌরি জেলাতেও।
বুধবার রাতে কুপওয়াড়ার তাংধর এলাকায় সেনাবাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে প্রথম শুরু হয় গুলির লড়াই। এর পর বৃহস্পতিবার সকালেও কুপওয়াড়ার মাচিল এলাকায় চলে এক প্রস্ত গুলি চালাচালি। এ ছাড়া জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর মিলেছে রাজৌরি জেলাতেও। খবর পেয়ে সেখানকার লাঠি অঞ্চলে পৌঁছয় পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর যৌথ দল। সেখানেও শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। কর্ডন এলাকাতেও দুই-তিন জন জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর মিলেছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই জঙ্গি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে লাগাতার চলছে সংঘর্ষ। গত শনিবারও জম্মু ও কাশ্মীরের সোপোরে পুলিশ ও ৩২ রাষ্ট্রীয় রাইফেল্সের যৌথ অভিযানে নিহত হয় এক সন্ত্রাসবাদী। উধমপুরে পৃথক একটি সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যু হয় এক সেনা আধিকারিকেরও। এর পরেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে বাহিনী। বাকি জঙ্গিদের নিষ্ক্রিয় করতে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক ভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে নাশকতা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। মাসখানেক আগেই খবর মিলেছিল, কাশ্মীরের পাহাড়ি অঞ্চলে লুকিয়ে রয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গি। অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাদের সঙ্গে আরপিজি, মেশিনগান-সহ আধুনিক অস্ত্র, নাইট ভিশন এবং উন্নত স্যাটেলাইট ফোন রয়েছে। এর পরেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। নির্বাচনের আগে উপত্যকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা রুখতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ রুখতে জারি রয়েছে কড়া নজরদারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy