—ফাইল চিত্র।
দু’দিন আগেই বলেছিলেন রামমন্দিরের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র অনুষ্ঠানকে তিনি মান্যতা দেন না। কারণ তাঁর মতে অসম্পূর্ণ মন্দিরে ঈশ্বরের বিগ্রহে ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ করা যায় না। শাস্ত্রের নিদান দেখিয়েই উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষ পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ বলেছিলেন, তিনি মনে করেন অযোধ্যায় যা হচ্ছে তা সঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার এ ব্যাপারে একটু তাড়াহুড়ো করেছে বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। রবিবার সেই শঙ্করাচার্য ১৮০ ডিগ্রি ঘুরলেন। বললেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর অন্যতম গুণগ্রাহী।
হঠাৎ এই বদল কেন? শঙ্করাচার্য অবশ্য বলেছেন, বদল নয়। তিনি তাঁর বক্তব্য থেকে সরে আসেননি। এর আগে অযোধ্য়ার রামমন্দিরে অসমম্পূর্ণতা নিয়ে মন্তব্য করলেও মোদীর বিরুদ্ধে কথা বলেননি তিনি। বরং বলেছিলেন, তিনি মোদীর বিরোধী নন। আজও সে কথাই বলছেন।
তবে শঙ্করাচার্য যা-ই বলুন, মাঝের কয়েকদিনে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। যে চার শঙ্করাচার্য রামমন্দিরের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে দু’জন ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁরা ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। তবে কি পরিস্থিতি বদলে যাওয়াতেই এখন অবস্থান বদলের চেষ্টা করছেন?
উত্তরাখণ্ডের শঙ্করাচার্য জানিয়েছেন, ‘‘মোটেই তা নয় । মোদী যে হিন্দুদের নিজেদের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছেন, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই তাঁর। তিনি কারও সমালোচনা করতে চান না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy