হেমন্ত সরেন। ফাইল চিত্র।
ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা(জেএমএম)-এর সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল রাজ্যসভায় প্রার্থী নিয়ে মতবিরোধ।
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পরেও আজ ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত রাজ্যসভায় তাঁর দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন। যদিও কংগ্রেসের দাবি, রাজ্যসভার একটি আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দেবেন বলে দলনেত্রীকে কথা দিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যন্ত্রী। ঘটনা প্রবাহে, হেমন্ত সোরেন সরকারের থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে কংগ্রেসের অন্দরে।
এআইসিসি-তে ঝাড়খণ্ডের ভারপ্রাপ্ত নেতা অবিনাশ পাণ্ডে আজ বিকেলে ১০, জনপথে গিয়ে সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আগামিকাল তিনি রাঁচিতে কংগ্রেসের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানেই সমর্থন প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হবে বলে খবর। কংগ্রেস সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের বিধায়করা হেমন্তের আজকের আচরণে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ।
কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, সিবিআই-ইডি থেকে বাঁচতে সোরেন ‘হাত’ ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে সরকার গড়ার কথা ভাবতে পারেন। ঝাড়খণ্ডের যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ রাজ আজ দাবি তুলেছেন, ‘‘আমাদের এখনই সমর্থন প্রত্যাহার করা উচিত।’’ মুখ্যমন্ত্রী হয়েও সোরেন নিজের নামেই খনির লাইসেন্স করিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। অভিজিতের দাবি, হেমন্ত তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থআগুলি সক্রিয় হতে পারে বলে ভয় পাচ্ছেন। এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রীর দুর্নীতির বোঝা কংগ্রেস নিজের ঘাড়ে নেবে কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা দরকার।
জেএমএম, কংগ্রেসের জোট থেকে রাজ্যসভায় কাকে প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে দু’দলের মধ্যে টানাপড়েন চলছিল। উভয়েই নিজের প্রার্থী দিতে চাইছিল। শনিবার রাতে দিল্লিতে সনিয়া-হেমন্তের বৈঠকের পরে কংগ্রেস নেতারা আশ্বস্ত হয়েছিলেন যে জেএমএম রাজ্যসভার একটি আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দেবে। হেমন্ত অবশ্য বলেছিলেন, রাজ্যসভায় জোটের প্রার্থী হবে। আজ তিনি তাঁর দলের কার্যকরী সভানেত্রী মহুয়া মাজিকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বলেন, ‘‘আমাদের আলোচনার পরে গুরুজি (শিবু সোরেন) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পরেও ২০২০-র গোড়ায় ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি হেরে যায়। জেএমএম-কংগ্রেস আরজেডি, এনসিপি-র সমর্থনে সরকার গড়ে। কংগ্রেসের বক্তব্য হেমন্তের উচিত ছিল কংগ্রেসের সমর্থনের বিনিময়ে রাজ্যসভার একটি আসন ছেড়ে দেওয়া। ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ ঠাকুর বলেন, ‘‘দিল্লিতে কংগ্রেস সভানেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা ও তাঁদের সিদ্ধান্তের মধ্যে স্ববিরোধ রয়েছে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy