হিংসার হুমকি দিয়েছেন ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’-র প্রধান অমৃতপাল সিংহ। ছবি: পিটিআই।
রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়া হবে। আজনালার ঘটনা কোনও হিংসা নয়। আসল হিংসা তো দেখার এখনও বাকি আছে! শনিবার এমনই হুমকি দিয়েছেন খলিস্তানি আন্দোলনের নতুন মুখ হিসাবে উঠে আসা ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ সংগঠনের প্রধান অমৃতপাল সিংহ।
তাঁর কথায়, “স্লোগানের আওয়াজ আর পতাকা গুনে এই ঘটনাকে হিংসার তকমা দিচ্ছেন! তা হলে শুনে রাখুন, এটা কোনও হিংসার ঘটনা নয়। এখনও পর্যন্ত তো আসল হিংসা দেখেননি। এ বার দেখাব হিংসা কাকে বলে।” সংবাদমাধ্যমের সামনে এ ভাবেই বিষোদ্গার করেছেন খলিস্তানি এই নেতা। তাঁর দাবি, এই ঘটনা ‘পবিত্র’। বঞ্চিত মানুষ নিজেরাই এই পথ বেছে নিয়েছেন।
খলিস্তানপন্থীদের অনেকেই অমৃতপালকে ‘দ্বিতীয় ভিন্দ্রানওয়ালে’ বলে থাকেন। সেই অমৃতপাল বলেছেন, “লোকে বলে হিংসা খুব খারাপ। কিন্তু আমি বলি, হিংসা পবিত্র। গুরু গোবিন্দ সিংহ বলেছেন, যখন তোমার কাছে আর কোনও পথ থাকবে না, তখন হাতে তরোয়াল তুলে নেওয়ার অধিকার রয়েছে।”
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি লভপ্রীত সিংহ তুফানকে দাঙ্গা এবং অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল অমৃতসরের কাছের শহর আজনালার আজনালা থানা। লভপ্রীত ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’-র সদস্য এবং অমৃতপালের ঘনিষ্ঠ। লভপ্রীতকে গ্রেফতার করার পরই আজনালায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। লভপ্রীতকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে থানা ঘেরাও করেন ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’-র সমর্থকরা। লাঠি, তরোয়াল এবং বন্দুক নিয়ে কয়েকশো সমর্থক থানার ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েছিলেন। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। শুক্রবার আজনালা আদালতের নির্দেশে লভপ্রীতকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
পঞ্জাব পুলিশের ডিজি গৌরব যাদব জানিয়েছেন, আজনালার ঘটনায় যাঁরা যুক্ত ছিলেন তাঁদের খুঁজে বার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। যদিও পুলিশের এই হুঁশিয়ারিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন অমৃতপাল। তাঁর হুঁশিয়ারি, “না কেন্দ্র, না পঞ্জাব সরকার, কেউই আমাদের ঠেকাতে পারবে না। আমরা রাজনীতির খেলা শুরু করব। খলিস্তানের আদর্শকে এবং স্বপ্নকে দমাতে পারবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy