খাদি যোগ ম্যাট সম্পূর্ণ দেশীয় ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে নির্মিত
আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে মুম্বইয়ের খাদি এবং গ্রামীণ শিল্প কমিশনের সদর দফতরে জমকালো অনুষ্ঠানের সঙ্গে উদ্বোধন হল ‘যোগ ম্যাট’। এই অনুষ্ঠানেই ভারত সরকারের বহুল প্রচলিত ‘খাদি’ উদ্বোধন করলেন খাদি এবং গ্রামীণ শিল্প কমিশনের (KVIC) চেয়ারম্যান শ্রী মনোজ কুমার। ‘যোগ ম্যাট’ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে মনোজ কুমার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আত্ননির্ভর ভারত অভিযান প্রতিদিন একটি করে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। ‘যোগ ম্যাট’ উদ্বোধন এই আত্ননির্ভর ভারত অভিযানেরই একটি অংশ।” তাঁর কথায়, “এই মাদুর সম্পূর্ণ দেশীয় এবং পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে নির্মিত। সব ধরনের যোগাসন করা যাবে, তা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে স্বদেশী যোগ ম্যাটের নকশা।”
অনুষ্ঠানে মাননীয় চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন যে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচী (PMEGP) প্রকল্পের অধীনে পশ্চিমাঞ্চলের ২৩৭ জন সুবিধাভোগীকে প্রায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকার টার্নওভারের জন্য তিনি কেভিসিআই-এর কর্মকর্তাদের এবং দেশের গ্রামীণ অঞ্চলে কর্মরত লক্ষ লক্ষ খাদি কারিগরদের অভিনন্দনও জানানন। ‘খাদি যোগ ম্যাট’ উদ্বোধনের আগে অনুষ্ঠানে শ্রী মনোজ কুমার কেভিসিআই-এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে যোগব্যায়াম ও প্রাণায়াম করেন। সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে, তিনি বলেছিলেন যে ২০১৪ সালে, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচেষ্টা ছিল, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিবস উদযাপনে করা, যা ২০১৫ সালের ২১ জুন অর্থাৎ তিন মাসের মধ্যেই গৃহীত হয়েছিল।
২০১৫ সালের ২১ জুন প্রথমবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যোগাসনে ভারত এখন বিশ্বকে যোগের পাঠ শেখাচ্ছে। অন্য দিকে কেভিআইসি চেয়ারম্যান আরও যোগ করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে, কেভিআইসি ‘ভোকাল ফর লোকাল’ এবং 'আত্মনির্ভর ভারত' প্রচারাভিযানের ধারণাটিকে নতুনভাবে নিয়ে গিয়ে বিশ্বের কাছে একটি নজির স্থাপন করেছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, কেভিআইসি পণ্যের টার্নওভার ১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। অন্য দিকে ৯,৫৪,৮৯৯ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও গ্রামীণ এলাকায় তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে আজ চালু হওয়া 'খাদি যোগ ম্যাট' খাদি কারিগরদের দক্ষতায় তৈরি সম্পূর্ণ দেশীয় পণ্য। এই নতুন দেশীয় পণ্যের জন্য আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে সোচ্চার হতে হবে। এবং যখন আমরা আমাদের পণ্যের জন্য 'ভোকাল ফর লোকাল' হব, তখনই কেবল আমাদের পণ্যগুলি 'লোকাল থেকে গ্লোবাল' ক্যাটাগরিতে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। কেভিআইসি -এর ঐতিহাসিক কৃতিত্বের কথা মাথায় রেখে তিনি আরও বলেন যে পিএমইজিপি প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বদেশী অভিযানের সাথে দেশের যুবকদের একত্রিত করার ক্ষেত্রে একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে। এই পরিকল্পনাটি 'চাকরি সন্ধানকারীর পরিবর্তে একজন চাকরির সৃষ্টিকর্তা’ স্বপ্ন পূরণ করে। এই উপলক্ষ্যে কেভিআইসি চেয়ারম্যান, পিএমইজিপি পরিকল্পনার অধীনে পশ্চিম অঞ্চলের ২৩৭ জন সুবিধাভোগীকে ডিজিটাল মোডের মাধ্যমে ২৫কোটি টাকার মতো মার্জিন মানি বিতরণ করেছেন। উল্লেখ্য, এই পিএমইজিপি সুবিধাভোগীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ইউনিটের মাধ্যমে প্রায় ২৬০৭ জন অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। অনুষ্ঠানে কেভিআইসির বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘খাদি’এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy