চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। —ফাইল চিত্র।
চিনের সদ্যপ্রকাশিত মানচিত্র নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। ভারতের পাশাপাশি, পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ এককাট্টা হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। অভিযোগ, নিজেদের মানচিত্রে অন্য দেশের ভূখণ্ডকে অন্তর্ভুক্ত করে ভৌগোলিক সম্প্রসারণবাদের বার্তা দিয়েছে বেজিং। জাকার্তায় আগামী পরশু আসন্ন ভারত-আসিয়ান আলোচনায় এই বিষয়টি উঠে আসবে বলেই জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্র। সরকারি ভাবে আগে থেকে এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দিতে চায়নি সাউথ ব্লক। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিদেশ মন্ত্রকের সচিব (পূর্ব) সৌরভ কুমারের তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য, ‘‘আলোচনায় কী উঠবে তা আগে থেকে অনুমান করা কঠিন। তবে যে সব আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে পারস্পরিক উদ্বেগ রয়েছে, সেগুলি আলোচনায় উঠে আসবে। কোন কোন বিষয়ে ঐকমত্য হবে, তা আগে থেকে বলা শক্ত।’’
পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের গোষ্ঠী আসিয়ান এবং ভারতের সংলাপের পাশাপাশি, জাকার্তায় হবে পূর্ব এশিয়ান সম্মেলন। সেখানে আমন্ত্রিত দেশ হিসাবে থাকবেন চিন, আমেরিকা, জাপানের প্রতিনিধিরাও। তবে সময়ের স্বল্পতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে না। আসিয়ান এবং পূর্ব এশিয়া সম্মেলন একই দিনে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ১৫ মিনিটের ব্যবধানে হবে বলে জানিয়েছে সাউথ ব্লক। শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রীর ফেরার তাড়া রয়েছে। তাই তাঁর অনুরোধেই সন্ধ্যায় নির্ধারিত বৈঠকটিকে দুপুরে এগিয়ে আনা হয়েছে।
সৌরভ কুমারের বক্তব্য, ‘‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের নীতি নির্ধারণ এবং নয়াদিল্লির ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির কেন্দ্রে রয়েছে আসিয়ানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক। ভারত এবং আসিয়ান— উভয় পক্ষই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সম্পর্কে একই মনোভাব পোষণ করে। একই দর্শন তাদের। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় উদ্যোগের প্রসঙ্গেও তাদের মনোভাব এক।’’ সূত্রের মতে, চিনকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূকৌশলগত নীতিতে কিছুটা চাপে রাখতে আসিয়ান ভারতের অন্যতম অস্ত্র। বর্তমানে ভারত-চিন সম্পর্ক যে ভাবে ক্রমশ খাদের দিকে এগোচ্ছে, আসিয়ানকে সঙ্গে রাখা নয়াদিল্লির বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, সব মিলিয়ে জি২০-র আগে আন্তর্জাতিক নজরে রয়েছে আসন্ন আসিয়ান-ভারত শীর্ষ সম্মেলনের দিকে। ২০২২ সালে ভারত এবং আসিয়ান গোষ্ঠীর মধ্যে কৌশলগত অংশীদারি তৈরি হয়। তার পর এই গোষ্ঠীর প্রথম শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, এই শীর্ষ সম্মেলনে ভারত-আসিয়ান সম্পর্কের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। এই অংশীদারির ভবিষ্যৎ দিক্নির্দেশ করবে শীর্ষ সম্মেলন। আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করবেন ভারত-সহ আসিয়ান দেশগুলির নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy