Advertisement
E-Paper

Nawab malik : নবাবের জামিনের আর্জি খারিজ করল আদালত

আদালত জানিয়েছে, বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে। সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা প্রয়োজন। তাই অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বলা হয়, নবাবের আইনজীবী এই বিষয়ে শুনানির জন্য ফের আবেদন জানালে তারিখ নির্ধারণ করবে আদালত।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২২ ০৬:০৪
Share
Save

মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা নবাব মালিকের জামিনের আবেদন আজ খারিজ করে দিল বম্বে হাই কোর্ট। আর্থিক নয়ছয় এবং সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে গত মাসে নবাবকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। অভিযোগ, ১৯৯৯ সালে দাউদ ইব্রাহিমের বোনের সঙ্গে জমি নিয়ে চুক্তি হয়েছিল এই এনসিপি নেতার।

আজ আদালত জানিয়েছে, বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে। সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা প্রয়োজন। তাই অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বলা হয়, নবাবের আইনজীবী এই বিষয়ে শুনানির জন্য ফের আবেদন জানালে তারিখ নির্ধারণ করবে আদালত। প্রসঙ্গত, বিচারপতি প্রসন্ন বি ভারালে এবং বিচারপতি শ্রীরাম এম মোদকের ডিভিশন বেঞ্চে গত ১১ মার্চ এই মামলাটি ওঠে। সেখানে নবাবের আইনজীবীরা অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানান এবং বলেন, নবাবের গ্রেফতার বেআইনি। তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়াই আইন না মেনে করা হয়েছে।

যদিও নবাবকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ইডি। সংস্থার তরফে জানানো হয়, ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ৩টে নাগাদ গ্রেফতার করা হয় এনসিপি নেতাকে। তার আগে তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছিল। এমনকি ইডি-র অফিসে পুত্র-সহ উপস্থিত হয়ে নবাব নিজের বয়ানও দিয়েছিলেন বলে জানানো হয়েছে ইডি-র তরফে।

নবাব হাই কোর্টে জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের কুর্লার গোয়াওয়ালা ভবন তিনি দখল করে রেখেছেন, যার ফলে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ উঠছে। এই কারণ দেখিয়ে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

নবাবকে গ্রেফতারের পরে নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি। এর পরে বিশেষ আদালত নবাবকে ২১ মার্চ পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। হাই কোর্টে নবাব জানিয়েছেন, আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগের পাশাপাশি ২২ বছর আগের আর্থিক লেনদেনদের বিষয়টিও জুড়ে আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধী আইনে (পিএমএলএ) তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।

নবাবের আইনজীবী দলে রয়েছেন অমিত দেসাই, তারেক সইদ এবং কৌশল মোর। দেসাই আদালতে জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিদের বয়ানের উপরে ভিত্তি করে নবাবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও ওই ব্যক্তিদের বয়ানের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। এ ছাড়া যে সমস্ত আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা আদৌ ঘটেনি বলেও জানিয়েছেন নবাবের আইনজীবীরা। তাঁদের বক্তব্য, কারও কোনও সম্পত্তি থাকা মানেই এমনটা নয় যে, কেউ আর্থিক নয়ছয়ে যুক্ত রয়েছেন। ওই সম্পত্তির ক্ষেত্রে কোনও আইনি সমস্যা রয়েছে, তা না জেনেই ওই সম্পত্তি কিনেছিলেন নবাব। যদিও ইডি-র তরফে হলফনামা দিয়ে নবাবের আবেদনের বিরোধিতা করা হয়। শুধু তাই নয়, গোয়াওয়ালা ভবনটি কোন প্রক্রিয়ায় কেনা হয়েছে, তা নিয়েও তদন্ত চলছে বলেও আদালতে জানানো হয়েছে ইডির তরফে।

Nawab Malik

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}