প্রতীকী ছবি।
পশুরাজের ঘোর দুর্দিন। তাই মন্দির তৈরি করে সেখানে সিংহ-বাহিনীর অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রার্থনা করছে অমরেলি জেলার ভেরায়ি গ্রাম। গ্রাম থেকে দেড় ঘণ্টার দূরত্বে গির জাতীয় উদ্যান। সেখানে সম্প্রতি দুই সিংহীর পরপর মৃত্যু চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। সিংহ-সিংহীদের পুরনো আস্তানার নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয়দের সচেতনতা বাড়াতে মন্দির গড়া হয়েছে।
এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে ভিখা জেঠভা বলেছেন, ‘‘পর পর মৃত্যুতে খুবই উদ্বেগ হচ্ছিল। তাই মন্দির।’’ ২০১০ থেকে ২০১৫-র মধ্যে গড়ে ৬২টি সিংহের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু গত দু’বছরে গিরে মারা গিয়েছে ১৮৪টি। ‘এশিয়াটিক লায়ন’-এর মৃত্যুর এই হিসেব গত ৫ মার্চ গুজরাত বিধানসভায় পেশ করেন বনমন্ত্রী গণপত বাসব। কখনও জঙ্গলের মধ্যে পাতা রেললাইন বরাবর হাঁটতে গিয়ে ট্রেনে পিষ্ট হয়েছে তারা, কখনও বা বৈদ্যুতিন বেড়ার কাছে চলে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে।
গিরে ৩০০ সিংহ-সিংহী থাকতে পারে। সেখানে ক্রমশ সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিভিন্ন করিডর দিয়ে নতুন নতুন এলাকায় সরে যেতে বাধ্য হয় ওরা, জানাচ্ছেন এক বন আধিকারিক। বন-সংরক্ষণের উপপ্রধান রতন নালা বলছেন, ‘‘সমস্যা হয় যখন ওই করিডরগুলোয় সিংহরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে চলাফেরা করতে পারে না।’’ সিংহের গড়ে বাধা সৃষ্টি করছে পাঁচটি রাজ্য সড়ক এবং রেললাইন। ২০১৬ সালে রাজুলা-পিপাভা রেললাইন বরাবর ৩০ কিলোমিটার বেড়া দেওয়া হয়। সেখানেই গত দু’বছরে প্রাণ গিয়েছে ১৪টি সিংহের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy