প্রতীকী ছবি।
লস্কর জঙ্গির সৎ বোন ও তাঁর স্বামীকে অপহরণ করল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। তার পরে তাঁদের পায়ে গুলি করে ফেলে দিয়ে গেল রাস্তার ধারে। অনন্তনাগের আরউইনির এই ঘটনা দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের।
পুলিশ জানিয়েছে, আরউইনির বাসিন্দা নাসির আহমেদ চাদরু বছরখানেক হল লস্করে যোগ দিয়েছে। তার সৎ বোন নুসরত ও তাঁর স্বামী মুদাসিরও ওই এলাকায় থাকেন। বৃহস্পতিবার মাকরু মহল্লা এলাকায় তাঁদের বাড়িতে যায় কয়েক জন। তাদের ডাক শুনে নুসরত ও মুদাসির বাইরে আসতেই তাঁদের গাড়িতে তুলে উধাও হয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা। পুলিশ খোঁজ শুরু করে। গত কাল আরউইনির এক সমাধিস্থলের কাছে মুদাসির-নুসরতকে ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তার আগে নুসরতের বাঁ এবং মুদাসিরের ডান পায়ে গুলি করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দম্পতিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের আঘাত গুরুতর নয়।
১৯৮০-এর দশক থেকে কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ চললেও জঙ্গি বা জওয়ানের পরিবারের সদস্যদের নিশানা করার বিশেষ চল ছিল না। কিন্তু ২০১৬ সালের অশান্তি শুরু হওয়ার পরে বাহিনীর বিরুদ্ধে জঙ্গিদের পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে। গত বছরের অগস্ট মাসে দক্ষিণ কাশ্মীরের চারটি জেলা থেকে ১১ জন সদস্যকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। ওই ১১ জনই কোনও না কোনও পুলিশকর্মীর আত্মীয়। পরে তাঁদের ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করা হয়। সেই বার্তায় জঙ্গিদের পরিবারকে হেনস্থা না করতে রাজ্য পুলিশের তৎকালীন প্রধান এস পি বৈদ্যকে অনুরোধ করেন বন্দিরা। পরে ওই ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু এক বার্তায় হিজ়বুল কমান্ডার রিয়াজ় নাইকু জানিয়ে দেয়, জঙ্গিদের পরিবারকে হেনস্থা করলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বার অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা জঙ্গিদের পরিবারকে নিশানা করায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
পুলিশ জানিয়েছে, আজ অনন্তনাগ শহরে দুই মোটরবাইক আরোহীকে থামতে বলে বাহিনী। তারা সে কথা না শোনায় জওয়ানেরা শূন্যে গুলি ছোড়েন। তার পরে ওই মোটরবাইক আরোহীদের পাকড়াও করা হয়।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy