গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের বিভিন্ন অংশে দুর্ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হল। জখম হলেন ১৭ জন।
পুলিশ জানায়, গত কাল কোকরাঝাড়ের বাঁশঝাড় এলাকা থেকে বনভোজনের উদ্দেশে ধুবুরির সূর্যপাহাড়ে যায় একটি দল। ফেরার পথে ধীরমাটি এলাকায় গাড়িটি প্রায় ৩০ ফুট নীচে ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় মইনা বসুমাতারি (১৩) নামে এক কিশোরী ও উইলব্রেট মারাক (৩৫) নামে এক যুবক। জখম ৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পাশাপাশি, বিহুর অনুষ্ঠান দেখে ফেরার সময় আজ সকালে কামরূপের বাইহাটা চারিয়ালি এলাকায় দুই যুবককে চাপা দেয় একটি মালবাহী গাড়ি। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। মৃতদের নাম ত্রৈলোক্য ডেকা ও কঙ্কন ডেকা। তৃতীয় ঘটনাটি শিবসাগরের মরিবিল এলাকায় ঘটেছে। পবিত্র পাটর ও রমেন শ্যাম নামে দুই যুবক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরবাইক নিয়ে মরিবিল লেকে পড়ে গেলে দু’জনেরই মৃত্যু হয়। পবিত্রবাবু শিবসাগরের জেলাশাসকের দেহরক্ষী। অন্য দিকে, কামরূপের ক্ষেত্রীতে মোটরবাইক ও সাইকেলের ধাক্কায় মোটরবাইক আরোহী বিকাশ নাথ ও সাইকেল আরোহী কানাইলাল রাজভড়ের মৃত্যু হয়েছে। রঙিয়ার কোঠরি এলাকায় ভাঙা কাঠের সেতু পার করার সময় হরিপুর চুবুরির বাসিন্দা, একাদশ শ্রেণির ছাত্র হীরেণ কুমার সাইকেল-সহ সেতু থেকে নীচে পড়ে যায়। পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নগাঁও জেলার কামপুর মনোহরগাঁও এলাকায় বরযাত্রীদের বোঝাই একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়লে ছ’জন গুরুতর জখম হন। পাশাপাশি, গোলাঘাট জেলার ফরকাটিং জংশনে ট্রেনে আসন দখল করা নিয়ে বিবাদের জেরে কনস্টেবল মহেন্দ্র নেওগ এক যাত্রীকে ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। পরে অন্য যাত্রীরা মারধর করে ওই কনস্টেবলকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অন্য একটি ঘটনায়, ডবকার যমুনাগাঁওয়ে গরম জলে পড়ে গিয়ে নাজিমা পারভিন নামে এক তিন বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy