আরও এক 'প্রথম'-এর সাক্ষী হলেন আমেরিকার ‘সেকেন্ড জেন্টলম্যান’!
কিছু দিন ধরেই ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের স্বামী ডগলাস এমহফকে ‘সেকেন্ড জেন্টলম্যান’ বলে সম্বোধন করছে বেশ কিছু বিদেশি সংবাদ সংস্থা। কমলা হ্যারিসই সে দেশের প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট। ডগলাস এমহফও এক জন ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গী হিসেবে প্রথম পুরুষ। ফলে ‘ফার্স্ট লেডি’ কিংবা ‘সেকেন্ড লেডি’ পদ দু’টি যে ভাবে মার্কিন রাজনীতিতে প্রচলিত, ‘সেকেন্ড জেন্টলম্যান’ বলে কোনও অভিধার সঙ্গে পরিচিত ছিল না সেখানকার সমাজ। তাই আগামী দিনে রাজনীতিতে ডগলাসের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ চর্চা শুরু হয়েছে সে দেশে।
এ বার সেই চর্চা আরও একটু এগিয়ে দিল আমেরিকার বিখ্যাত ‘মেরিয়াম-ওয়েবস্টার’ অভিধান। ‘সেকেন্ড জেন্টলম্যান’ কথাটি প্রথম খাতায়-কলমে জায়গা পেল সেই অভিধানেই। রাজনীতিতে ডগলাস এমহফের ভূমিকা বোঝাতেই নিজেদের শব্দতালিকায় এই কথাটি যুক্ত করেছে ‘মেরিয়াম-ওয়েবস্টার’। ‘সেকেন্ড জেন্টলম্যান’ নিজেই সে কথা শেয়ার করেছেন তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডলে। লিখেছেন, ‘‘ওয়েল, নাও ইট্স অফিশিয়াল!’’ অর্থাৎ, তাঁর নতুন পদে এ বার সিলমোহর পড়ল। তারই সঙ্গে সূচনা হল আমেরিকার রাজনীতিতে নতুন এক যুগের। এর আগের দফায় হিসেবের একটু এ দিক-ও দিক হলে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকে ‘ফার্স্ট জেন্টলম্যান’ হিসেবে হয়তো দেখার সুযোগ পেত বিশ্ব। তবে তা হয়নি। ফলে এই ‘প্রথমের’ সঙ্গে পরিচয় ঘটালেন ‘দ্বিতীয়ই’।
ভোটে জিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বক্তব্য রেখেছিলেন যে, তিনি সেই পদে প্রথম মহিলা হলেও, শেষ জন হবেন না। সেটাই তাঁর আশা ও বিশ্বাস। মেরিয়াম ওয়েবস্টার অভিধানের এই পদক্ষেপ ভাইস প্রেসিডেন্টের সেই আশাতেই আরও একটু ভরসা জোগাল যেন।