তেলঙ্গানার বিজেপি প্রধান বান্দি সঞ্জয় কুমার। ছবি: সংগৃহীত।
হায়দরাবাদে নাবালিকা গণধর্ষণ-কাণ্ডে তেলঙ্গানার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেসিআর সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগল বিজেপি। রবিবার রাজ্যের বিজেপি প্রধান বান্দি সঞ্জয় কুমার কার্যত হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ থেকে বুলডোজার এনে এখানকার সব কিছু ঠিক করে দেব।’’
গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই কেসিআরের ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, এই ঘটনায় দোষীদের আড়াল করছেন স্বয়ং তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)। রবিবার এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত চার অভিযুক্তের গ্রেফতারির পর আরও সুর চড়িয়েছেন তেলঙ্গানার বিজেপি নেতৃত্ব। টুইটারে রাজ্যের বিজেপি প্রধান লিখেছেন, ‘হায়দরাবাদে এক নাবালিকা ধর্ষিতা হয়েছেন। তবে পাঁচ দিন ধরে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। ঘটনায় আসল অপরাধীদের আড়াল করতে ষড়যন্ত্র চলছে।’
Minor girl is raped in Hyd, but no action is taken for 5 days. Conspiracy is going on to shield real culprits. KCR, KTR said that drone cameras will send alerts wherever any incident takes place, how come they failed now? Bulldozers will come from Uttar Pradesh to set things here
— Bandi Sanjay Kumar (@bandisanjay_bjp) June 4, 2022
গত ২৮ মে হায়দরাবাদের অভিজাত এলাকা জুবিলি হিলসে একটি মার্সিডিজ গাড়িতে একের পর একে পাঁচ জন ১৭ বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের মধ্যে তেলঙ্গানার ক্ষমতাসীন সরকারের এক বিধায়ক-পুত্রও রয়েছে বলে দাবি বিজেপির। এখনও পর্যন্ত এক ১৮ বছর বয়সি-সহ তিন নাবালক ধৃতের মধ্যে ক্ষমতাসীন তেলঙ্গানা রাষ্ট্রসমিতি (টিআরএস)-র এক নেতার ছেলে রয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাকিরাও প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান বলে দাবি।
এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব-সহ ডিজি-র কাছে সবিস্তার রিপোর্ট তলব করেছেন তেলঙ্গানার রাজ্যপাল তমিলিসাই সৌন্দরারাজন। অন্য দিকে, কেসিআর-পুত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী কেটি রামা রাও অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনকে। যদিও নেটমাধ্যমে রাজ্য বিজেপি প্রধানের দাবি, ‘কেসিআর, কেটিআর বলেছিলেন যে ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে এ ধরনের অপরাধের আগেই সতর্কবার্তা পাওয়া যাবে। তাঁরা ব্যর্থ হলেন কী ভাবে? এখানে সব কিছু ঠিক করতে উত্তরপ্রদেশ থেকে বুলডোজার আসবে।’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy