চন্দ্রবাবু
গোটা বাজেট অধিবেশন ভন্ডুল হয়েছিল অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে। বাদল অধিবেশনের মুখে ফের উঠে এল অনাস্থা প্রস্তাবের গপ্পো! অধিবেশন শুরু হবে আগামী সপ্তাহে। এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল আজ জানাল, প্রথম দিনেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনবে তারা। তেলুগু দেশমের অভিযোগ, এক তো অন্ধ্রের জন্য বিশেষ প্যাকেজ দেয়নি কেন্দ্র। তার উপর বিজেপি ও জগন্মোহনের দল চক্রান্ত করছে চন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে।
গত অধিবেশনেও ঠিক একই ছবি দেখা গিয়েছিল। জগন্মোহনের দল অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিস দিতেই চন্দ্রবাবুর দলও সক্রিয় হয়ে ওঠে। সঙ্গে তামিলনাড়ুর প্রসঙ্গ নিয়ে সংসদের ওয়েলে নেমে পড়ে এডিএমকে। এডিএমকে আর জগন্মোহন বিজেপির ‘বন্ধু’ বলেই পরিচিত। বিজেপির সঙ্গে তলে তলে যথেষ্ট সখ্য রয়েছে চন্দ্রবাবুরও। নিজ রাজ্যে বিরুদ্ধ-হাওয়া মোকাবিলা করতেই বিজেপির ঘাড়ে দায় ঠেলে জোট ছেড়েছেন তিনি। জোট ত্যাগের সময়েই স্পষ্ট হয়েছিল গিয়েছিল তা। দু’দিন আগেও নরেন্দ্র মোদীর দূত হিসেবে নিতিন গডকরী চন্দ্রবাবুকে পাশে নিয়ে রাজ্যের পোলাভরম প্রকল্পের তদারকি করে এসেছেন। আজও মন্ত্রী নিতিন ও চন্দ্রবাবুকে বিশাখাপত্তনমে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছে প্রকল্পের উদ্বোধনে।
একমত্য হলে অনাস্থা নিয়ে এগোতে আগ্রহী বিরোধী শিবিরের কিছু দল। কিন্তু কংগ্রেসের অন্দরে প্রশ্ন, ভোটের মুখে এখন অনাস্থা এনে কী লাভ? এটা কি ফের সংসদ ভন্ডুল করার ছক? কংগ্রেসের রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা তাই বলেছেন, ‘‘অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিলে জানানো হবে।’’ এখন অনাস্থা প্রস্তাব আনলে যে তাদেরই লাভ তা অস্বীকার করেছেন না বিজেপির নেতারাও। এই নিয়ে হাঙ্গামায় অনেক প্রশ্ন এড়ানো যাবে। লোকসভায় গরিষ্ঠতা আছে এনডিএর। ভোটের আগে মোদী তাঁর শক্তিরও প্রমাণ দিতে পারবেন এতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy