গয়ার বিষ্ণুপাদ মন্দির-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণ পরিকল্পনার মূল চক্রী তৌসিফ খান শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়ল। গত বৃহস্পতিহার গয়ার রাজেন্দ্র আশ্রম মহল্লার একটি সাইবার কাফে থেকে দুই শাগরেদ-সহ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ওই সাইবার কাফের মালিকই তৌসিফদের আটকে রেখে পুলিশকে জানান। অমদাবাদের জুহাপুরার বাসিন্দা তৌসিফ খান পাঠান ২০০৮-এর অমদাবাদ বিস্ফোরণের মূল চক্রী বলে পুলিশ জানিয়েছে। অমদাবাদ ও সুরাতে নাশকতা-সহ সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যকলাপের মোট ৩৫টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
পুলিশের দাবি, গয়া মডিউল নতুন ভাবে তৈরি করে ফের এই এলাকায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনকে চাঙ্গা করতে চাইছিল সে। বিহারের মগধ এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামে নতুন নিয়োগও শুরু করে। এ কাজে গরিব ঘরের মেয়েদের ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল তার। সঙ্গীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য হাইটেক পদ্ধতি ব্যবহার করত এই ইঞ্জিনিয়ার জঙ্গি। গয়ার সিভিল লাইনস পুলিশ থানায় তৌসিফ ও তার সহকারীদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। রাজ্য পুলিশের এডিজি (সদর) এস কে সিঙ্ঘল জানান, গয়ার ডোবি ব্লকে এক প্রত্যন্ত গ্রামে একটি বেসরকারি স্কুলে অঙ্ক এবং বিজ্ঞান পড়াত তৌসিফ। ওই স্কুলে চাকরি পেতে তৌসিফকে সাহায্য করেন শাহদেও খাপ গ্রামের বাসিন্দা সানে খান। তাঁকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে স্কুলের মালিক গোলাম সারওয়ারকেও।
২০০৮-এ ২৬ জুলাই অমদাবাদের ২১টি এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন। ৫৬ জন নিহত ও অন্তত ২০০ জন জখম হন। ওই মামলায় ৯৫ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে গুজরাত পুলিশ। মোট ৮০ জনকে গ্রেফতার করতে পারলেও ১৫ জন ফেরার ছিল। পলাতকদের মধ্যে অন্যতম ছিল তৌসিফ। গুজরাত পুলিশ ইতিমধ্যেই বিহার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আগামী কাল গুজরাত এটিএসের চার সদস্যের একটি দল বিহারে আসছে। তাঁরাও তৌসিফকে জেরা করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy