জয়রাজ ও বেনিক্স। এই বাবা-ছেলেকেই পুলিশ হেফাজতে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। ফাইল চিত্র।
সিবিআই তদন্ত এখনও চলছে। কিন্তু তার আগেই মৃত্যু হল চেন্নাইয়ের সান্থাকুলমে ব্যবসায়ী বাবা-ছেলেকে লকআপে ‘পিটিয়ে মারা’য় অভিযুক্ত স্পেশাল সাব-ইনস্পেক্টরের।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত মাসে মাদুরাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সাব-ইনস্পেক্টর পলদুরাই। ডায়াবিটিসে ভুগছিলেন। সোমবার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে পলদুরাইয়ের। গত এক মাস ধরে মাদুরাইয়ের সেন্ট্রাল জেলে ছিলেন পালুদুরাই। জেলে বন্দি থাকাকালীনই তাঁর কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে। তার পর তাঁকে মাদুরাইয়ের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
লকডাউনের নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার ১৫ মিনিট পরেও দোকান খোলা রেখেছিলেন তুতিকোরিনের সান্থনকুলমের ব্যবসায়ী ৫৯ বছরের জয়রাজ। সেই অভিযোগে তাঁকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ছেলে বেনিক্স বাবার খোঁজে থানায় গেলে তাঁকেও আটক করা হয়। অভিযোগ, গ্রেফতারের পরে রাতভর বাবা ও ছেলের উপর অত্যাচার চালান তিন পুলিশকর্মী। ২২ জুন সকালে বেনিক্সকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেদিনই তিনি মারা যান। পরের দিন মারা যান জয়রাজ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দু’জনের দেহের ভিতরে এবং বাইরে একাধিক ক্ষতচিহ্নের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে প্রবল বিক্ষোভ সৃষ্টি হয় তামিলনাড়ুতে। সমালোচনার মুখে পড়তে হয়ে রাজ্য সরকারকে।
আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে বাজিমাত রাশিয়ার? বিশ্বে প্রথম টিকা তৈরির দাবি পুতিনের
মামলাটি আদালত পর্যন্ত গড়ালে মাদ্রাজ হাইকোর্ট পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করার নির্দেশ দেয়। তার পরই সাব-ইনস্পেক্টর পলদুরাই-সহ ১০ পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাজ্য সরকার এই মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। সেই মামলার তদন্ত এখনও চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy