বেড়েছে ঋণের চাহিদা। কমেছে অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ)। তার প্রভাবে টানা গত ছ’টি অর্থবর্ষে দেশের ব্যাঙ্কগুলির মুনাফা করার ক্ষমতা উত্তরোত্তর বেড়েছে। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা সম্পর্কে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের রিপোর্টে এমনটাই উঠে এসেছে। সেখানে জানানো হয়েছে, ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিরও (এনবিএফসি) ঋণের চাহিদা এবং হিসাবের খাতা আগের তুলনায় শক্তিশালী হয়েছে। গত অর্থবর্ষের হিসাব, ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, ২১টি বেসরকারি ব্যাঙ্ক, ৪৫টি বিদেশি ব্যাঙ্ক, ৪৩টি আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক-সহ ১৪১টি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক রয়েছে দেশে।
বিরোধীরা অবশ্য বলে আসছে, হিসাবের খাতা শক্তপোক্ত হওয়ার পিছনে রয়েছে বিপুল এনপিএ মুছে দেওয়া। যা আদতে গুনতে হচ্ছে দেশবাসীকে। কেন্দ্রের পাল্টা বক্তব্য, হিসাবের খাতা থেকে এনপিএ মুছলে ব্যাঙ্কের ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বাড়ে। ঋণ মাফ হয়ে যায় এমনটাও নয়। সেই ঋণ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চালিয়ে যায় ব্যাঙ্ক।
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গত অর্থবর্ষে এই সমস্ত ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা ৩২.৮% বেড়ে পৌঁছেছে ৩,৪৯,৬০৩ কোটি টাকায়। জাতীয় অর্থনীতির পোক্ত ভিত এবং ব্যাঙ্কগুলির শক্তিশালী অবস্থার জন্যই তা সম্ভব হয়েছে। টানা ছ’টি অর্থবর্ষেই শুধু নয়, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধেও মুনাফা বৃদ্ধির লক্ষণ স্পষ্ট। উন্নতি হয়েছে সম্পদের মানের। গত অর্থবর্ষের শেষে ঋণের সঙ্গে মোট এনপিএ-র অনুপাত ২.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। যা ১৩ বছরের সর্বনিম্ন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)