রক্তের সম্পর্কের মধ্যে বিয়েতে দেশে প্রথম স্থানে আছে তামিলনাড়ু। দ্বিতীয় স্থানে কর্নাটক। দেশব্যাপী একটি সমীক্ষায় এমনই তথ্য দিল জাতীয় পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। ২০১৯-’২০ আর্থিক বছরের মধ্যে করা এই সমীক্ষা অনুযায়ী, তামিলনাড়ুর ২৮ শতাংশ বিয়েই হয় রক্তের সম্পর্কের মধ্যে। এর মাত্র এক শতাংশ দূরে রয়েছে দক্ষিণের আর এক রাজ্য কর্নাটক। সংশ্লিষ্ট সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, দেশে মোট ১১ শতাংশ বিয়ে হয় পরিবারের মধ্যে। তবে রাজ্য হিসেবে দেখলে এই প্রবণতা বেশি দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে।
চিকিৎসকরা বলেন, রক্তের সম্পর্কের মধ্যে বিয়েতে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। তার মধ্যে আছে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়। আন্তঃবর্ণের বিয়ে হলে সন্তানদের মধ্যে থ্যালাসেমিয়ার মতো অসুখের ঝুঁকি বেশি থাকে। এমন বিয়ের প্রবণতার মধ্যে রয়েছে মোটামুটি দুটি কারণ। এক হল, জাত এবং বর্ণের বিষয় এবং দুই, উত্তরাধিকারের বিষয়। যেমন, কর্নাটক এখনও মূলত কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির রাজ্য। তাই সেখানে সম্পত্তির ভাগাভাগির ব্যাপারে অগ্রাধিকার দিয়ে রক্তের সম্পর্কের মধ্যে বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সবচেয়ে বেশি রক্তের সম্পর্কের মধ্যে বিয়ে হয় মুসলিমদের। মুসলিম সম্প্রদায়ের ১৫.৮ শতাংশ বিয়ে হয় পরিবারের মধ্যে। তার পর রয়েছেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী (১৪.৫ শতাংশ), খ্রিস্টান (১১.৯ শতাংশ) এবং হিন্দু (১০.১ শতাংশ)। মধ্যবিত্তদের মধ্যে আন্তঃবর্ণ বিয়ে সবচেয়ে বেশি হয় (১৩ শতাংশ)। তার পর রয়েছেন উচ্চ মধ্যবিত্ত (১২.৭ শতাংশ), নিম্ন মধ্যবিত্ত (১০.৮ শতাংশ), গরিব (৭.৫ শতাংশ) এবং ধনী (৯.৬ শতাংশ)। অর্থাৎ, ধনী এবং মধ্যবিত্তদের মধ্যে এমন বিয়ে সবচেয়ে বেশি হয়।
সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, রক্তের সম্পর্কের বিয়ে মামাতো দাদার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি হয়। তার পর রয়েছে তুতো দাদা বা মামার সঙ্গে বিবাহ সম্বন্ধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy