—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আসন্ন কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন থাকার কোনও আশা এখনও পর্যন্ত নেই। উপরন্তু এ বার অসম ও ত্রিপুরার দু’টি বইমেলা থেকেও বাদ পড়ে গেল বাংলাদেশ।
আজ থেকে গুয়াহাটিতে শুরু হল অসম গ্রন্থমেলা। প্রতি বছর বাংলাদেশের একাধিক প্রকাশনা সংস্থার স্টল থাকে এখানে। গত বার বাংলাদেশের স্টলের সংখ্যা ছিল ১০। কিন্তু এ বছর সে দেশের অশান্ত পরিবেশের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে বাদ দিয়েই শুরু হয়েছে গ্রন্থমেলা। মেলা চলবে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আগামী ২ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত আগরতলা বইমেলা চলবে শহরের হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে। আজ মেলার স্টল বরাদ্দ করার জন্য লটারি হয়েছে বাংলাদেশকে বাদ দিয়েই। ফলে এই বইমেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১৫০টি স্টল থাকলেও বাংলাদেশের কোন স্টল থাকবে না। এর কারণ নিয়ে দু’রকম বক্তব্য উঠে আসছে। ত্রিপুরার সংস্কৃতি দফতরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্যের বক্তব্য, বাংলাদেশের তরফ থেকে এ বার বইমেলায় অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদনপত্র জমা পড়েনি। যদিও আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, অন্যান্য বার ত্রিপুরা সরকারের তরফে তাঁদের কাছে চিঠি দেওয়া হত। সেই চিঠি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর হত। সেখান থেকে প্রকাশকদের তালিকা আসত। ওই তালিকা ত্রিপুরা সরকারকে পাঠিয়ে দেওয়া হত। এ বার ত্রিপুরা সরকার কোনও চিঠিই দেয়নি। ফলে বাংলাদেশও উৎসাহ দেখায়নি।
কিন্তু বিম্বিসারের দাবি, কোন বারই আলাদা করে আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয় না। দফতরের তরফে বইমেলার দিনক্ষণ জানিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেই বিজ্ঞাপন দেখেই প্রকাশক বা বই বিক্রেতারা যোগাযোগ করেন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তা-ই করা হত। ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ডের সম্পাদক অজিত দেববর্মা বলেন, ‘‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এ বার কোনও প্রকাশক বা বই বিক্রেতা আসছেন না। ব্যক্তিগত ভাবেও কোনও প্রকাশক রাজ্যের কোনও প্রকাশকের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy