আগামী বিধানসভা নির্বাচন বঙ্গ বিজেপি কার নেতৃত্বে লড়বে, তা আগামী সাত-দশ দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার কথা। তার আগে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডাকে দিল্লি এসে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে গেলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কার্যত ঝটিকা সফরে আজ দিল্লি এসেছিলেন শুভেন্দু। সূত্রের খবর, দুপুরে দিল্লি পা দিয়েই সরাসরি বিজেপির সদর দফতরে চলে যান তিনি। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের দুই শীর্ষ সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ ও সুনীল বনসলের (পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত) সঙ্গে বৈঠক করেন শুভেন্দু। সূত্রের খবর, বৈঠকে সম্ভাব্য রাজ্য সভাপতির নাম নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে আজ একাধিক নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সুকান্ত মজুমদারের স্থানে এমন কোনও ‘মুখ’কে সভাপতি হিসেবে চাইছেন, যাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে রাজ্য বিজেপির সর্বস্তরে। ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠকের পরে সন্ধ্যায় কলকাতা ফিরে যান শুভেন্দু।
দোল উৎসবের আগেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি বেছে নিতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে সভাপতি নির্বাচনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১৪টি রাজ্য ও ছ’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সভাপতি নির্বাচনের কাজ সেরে ফেলেছে পদ্ম শিবির। দলের নিয়ম অনুযায়ী পঞ্চাশ শতাংশের বেশি রাজ্যে সভাপতি নির্বাচন হয়ে গেলেই কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া যায়। তাই দেরি না করে দ্রুত বাকি রাজ্যগুলিতে সভাপতি নির্বাচন সেরে ফেলতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই কারণেই আজ শুভেন্দুকে তড়িঘড়ি তলব।
রাজনীতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের বিষয়টি ছাড়াও নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে চাকরিপ্রার্থীদের নাম সুপারিশ করেছিলেন শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এমন একটি তালিকা সম্প্রতি সামনে এনেছে সিবিআই। যে বছরের পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে সেই সময়ে তৃণমূলে ছিলেন দিব্যেন্দু। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর ভূমিকা নিয়ে রাজ্যে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ওই বিতর্কের আবহে শুভেন্দুর আজকের সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)