Advertisement
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Suspicious Object On Tracks

কানপুরে রেল লাইনের উপর আবার সিলিন্ডার! চালকের তৎপরতায় বাঁচলেন যাত্রীরা

রবিবার মুম্বই থেকে লখনউ যাচ্ছিল ট্রেনটি। বিকেল ৪টে নাগাদ গোবিন্দপুরী স্টেশনের কাছে পৌঁছয় ট্রেনটি। তখনই চালক লাইনে সন্দেহজনক কিছু পড়ে থাকতে দেখেন।

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:০৭
Share: Save:

উত্তরপ্রদেশের কানপুরে রেল লাইনে আবার লাল সিলিন্ডার রাখার অভিযোগ উঠল। দূর থেকে দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি ব্রেক কষেন পুস্পক এক্সপ্রেসের ট্রেনের চালক। অল্পের জন্য রক্ষা পান যাত্রীরা। নয়তো বড়সড় বিপদ হতে পারত বলে মনে করছে রেলের একটি সূত্র।

রবিবার মুম্বই থেকে লখনউ যাচ্ছিল ট্রেনটি। বিকেল ৪টে নাগাদ গোবিন্দপুরী স্টেশনের কাছে পৌঁছয় ট্রেনটি। তখনই চালক লাইনে সন্দেহজনক কিছু পড়ে থাকতে দেখেন। তার পরে ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেন। ট্রেন থেকে নেমে দেখেন, লাইনে পড়ে রয়েছে আগুন নেভানোর গ্যাস ভরা সিলিন্ডার। চালক জানিয়েছেন, ট্রেনের গতি কম থাকার কারণে তা থামাতে সুবিধা হয়েছে। নয়তো বড়সড় দুর্ঘটনা হতে পারত।

আগুন নেভানোর ওই সিলিন্ডার রেলের তরফেই দেওয়া হয়। কন্ট্রোলরুমে জানানোর পর তাদের নির্দেশে সিলিন্ডারটি কানপুর সেন্ট্রালে পৌঁছে দেন চালক। মামলা রুজু করে তদন্ত করছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, সেকশন ইঞ্জিনিয়ার ওই সিলিন্ডারটি ইস্যু করেছেন। কী ভাবে সেটি ট্রেন লাইনে এল, তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এই নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন কোনও বিবৃতি দেয়নি।

শনিবার উত্তরপ্রদেশে রেললাইনের উপর কংক্রিটের পিলার রাখা ছিল বলে অভিযোগ। চিত্রকূট ডিভিশনের বান্দা থেকে বুন্দেলখণ্ড ডিভিশনের মাহোবার দিকে যাচ্ছিল প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি। আচমকা ব্রেক কষেন চালক। রক্ষা পান যাত্রীরা। কিছু দিন আগে কানপুরে রেল লাইনের উপরে একটি গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া গিয়েছিল। তার পাশে দেশলাই বাক্সও সাজানো ছিল। পুলিশের অনুমান, ট্রেন লাইনচ্যুত করার উদ্দেশ্যেই সেগুলি লাইনের উপরে রেখে দেওয়া হয়েছিল। সিলিন্ডারে ধাক্কা মারলেও সে দিন অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা এড়িয়েছিল কালিন্দি এক্সপ্রেস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kanpur train
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE