Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Surrogacy

স্বেচ্ছায় যে কেউ গর্ভদাত্রী মা হতে পারেন, বিল এবার রাজ্যসভায়

গত বছর ৫ অগস্ট লোকসভায় এই সারোগেসি বিল পাশ হয়ে গেলেও, এখনও রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হওয়া বাকি।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:১১
Share: Save:

নিকট আত্মীয়-স্বজন ছাড়া নিজের ইচ্ছায় যে কোনও মহিলাই গর্ভদাত্রী মা (সারোগেট মাদার) হতে পারবেন। খুব শীঘ্র রাজ্যসভায় সারোগেসি বিল ২০১৯ পেশ হতে চলেছে। তার আগে বুধবার একটি সংসদীয় কমিটির তরফে এমনই প্রস্তাব দেওয়া হল।

বিজেপি সাংসদ ভূপেন্দ্র যাদবের নেতৃত্বাধীন রাজ্যসভার ২৩ সদস্যের সিলেক্ট কমিটির তরফে ওই বিলে মোট ১৫টি পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে থেকেই যে কাউকে গর্ভদাত্রী মা হতে হবে, এমনটা নয়। বরং নিজের ইচ্ছায় যে কোনও মহিলাই গর্ভদাত্রী মা হতে পারেন।

কোনওরকম নিরোধক ছাড়া একটানা পাঁচ বছর শারীরিক সম্পর্কের পরও সন্তান না হলে, তবেই এত দিন গর্ভদাত্রী মায়ের সাহায্যে সন্তানের কথা ভাবতে পারতেন কোনও দম্পতি। কিন্তু পাঁচ বছর সময়টা খুব দীর্ঘ তা মেনে নিয়েছে ওই কমিটি। তাই এই সময়সীমা কমিয়ে আনার পক্ষে প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

আরও পড়ুন: নির্ভয়া: দণ্ডিতরা আরও এক সপ্তাহ সময় পেল দিল্লি হাইকোর্টে​

এমনকি ৩৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী বিধবা এবং ডিভোর্সি মহিলাদেরও এই পদ্ধতিতে মা হওয়ার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছে ওই কমিটি। বিষয়টি আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে সীমিত রাখলে অনেক সময়ই নিরাশ হতে হয় সন্তানহারা দম্পতিদের। তাঁদের কথা ভেবেই অমন প্রস্তাব আনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সেই সঙ্গে গর্ভদাত্রী মায়ের নিরাপত্তার দিকটিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এত দিন সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে ও পরে সব মিলিয়ে গর্ভদাত্রী মায়েদের ১৬ মাস পর্যন্ত বিমার আওতায় রাখার কথা বলা ছিল। এ বার তা বাড়িয়ে ৩৬ মাস করার পরামর্শ দিয়েছে ওই কমিটি।

আরও পড়ুন: দিল্লি নির্বাচনের মুখে রামমন্দির ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা মোদীর​

গত বছর ৫ অগস্ট লোকসভায় এই সারোগেসি বিল পাশ হয়ে গেলেও, এখনও রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হওয়া বাকি। গত বছর ২১ নভেম্বর বিলটি সেখানে প্রথম বার উত্থাপিত হয়। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১০ দফা বৈঠক করেছে ওই কমিটি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE