সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
তফসিলি জনজাতির জনসংখ্যা অনুযায়ী প্রতিনিধিত্ব দিতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় জনজাতিদের জন্য একটি আসন বাড়ানো প্রয়োজন। তাই আজ সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে নতুন করে আসন পুনর্বিন্যাস কমিশন গঠনের নির্দেশ দিল।
তামাং ও লিম্বু সম্প্রদায় তফসিলি জনজাতির তকমা পাওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টে জনজাতির সংখ্যা অনুযায়ী জনপ্রতিনিধিত্বের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। সেই মামলাতেই আজ প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ চূড়ান্ত রায়ে বলেছে, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভায় জনজাতিদের জন্য একটি অতিরিক্ত আসন দরকার। তার জন্য আসন পুনর্বিন্যাস আইনের ক্ষমতার প্রয়োগ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সার্বিক ভাবে মনে হচ্ছে জনজাতির জন্য একটি অতিরিক্ত আসন দরকার। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আমরা রায়ের শেষে স্পষ্ট করে দিয়েছি যে কেন্দ্রীয় সরকারকে আসন পুনর্বিন্যাস কমিশন গঠন করতে হবে।’’
বুধবারই সু্প্রিম কোর্ট বলেছিল, কেন্দ্রের উচিত আসন পুনর্বিন্যাস কমিশন গঠনের কথা বিবেচনা করা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান ছিল, ২০২৬ সালে জনগণনার পরেই নতুন আসন পুনর্বিন্যাস কমিশন গঠন করা যেতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট মত দিয়েছে, তামাং ও লিম্বু সম্প্রদায় তফসিলি জনজাতির তকমা পাওয়ার পরে তাদের জনসংখ্যার অনুপাতে জনপ্রতিনিধিত্ব দেওয়ার সাংবিধানিক দাবি নিয়ে কোনও সংশয় নেই।
প্রায় ছয় বছর আগে পিআইসিএসএসএ (পাবলিক ইন্টারেস্ট কমিটি ফর শিডিউলিং স্পেসিফিক এরিয়াস) নামের সংগঠন সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করে দাবি তুলেছিল, পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে আদিবাসী বা তফসিলি জনজাতিদের জনসংখ্যার অনুপাত অনুযায়ী জনপ্রতিনিধিত্ব দিতে হবে। অভিযোগ ছিল, তামাং ও লিম্বু সম্প্রদায়কে তফসিলি জনজাতির তকমা দেওয়া হলেও তাঁদের জনসংখ্যার অনুপাতে জনপ্রতিনিধিত্ব মেলেনি।
রাজ্যে ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬৮টি তফসিলি জাতি, ১৬টি জনজাতির জন্য সংরক্ষিত। ২০০১-এর জনগণনা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা ছিল ৮ কোটি। তার মধ্যে তফসিলি জনজাতি ৪৪ লক্ষ বা মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশ মতো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy