Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Supreme Court

মুখ্যমন্ত্রী মানে কি ‘রাজা’ নাকি! তিনি যা খুশি তাই করতে পারেন? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করেছে, ‘‘যেখানে উপসচিব, প্রিন্সিপাল সচিব, এমনকি বনমন্ত্রীও নিয়োগ নিয়ে আপত্তি তুলছেন, সেখানে ওই অফিসারের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ‘বিশেষ স্নেহে’র কারণ কী?’’

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০০
Share: Save:

এক পদচ্যুত আইএফএস অফিসারকে নিজের ইচ্ছা মতো পদে বসানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি। ঘটনাটি সুপ্রিম কোর্টের গোচরে আসায় সরকারকে ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতিরা। সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করল, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মানে কি যা খুশি তা-ই করতে পারেন! একটি গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধানের কাছ থেকে পুরনো দিনের রাজার মতো আচরণ বাঞ্ছিত নয়। আমরা কোনও সামন্ততান্ত্রিক জমানায় বাস করছি না।’’

যে আইএফএস অফিসারের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক, তাঁর নাম রাহুল। তিনি এর আগে করবেট ব্যাঘ্র সংরক্ষণের অধিকর্তা ছিলেন। তবে সেই পদ থেকে তাঁকে অপসারিত করা হয়। বর্তমানে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিভাগীয় তদন্ত চলছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই রাহুলকেই উত্তরাখণ্ডের রাজাজি ব্যাঘ্র সংরক্ষণের অধিকর্তা পদে বসাতে চেয়েছিলেন ধামি। এ বিষয়ে রাজ্যের বনমন্ত্রী-সহ সংশ্লিষ্ট পদাধিকারীদের আপত্তি কানে না তুলেই গত ১০ অগস্ট রাহুলকে নিয়োগ করা হয়। তার পরেই তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক। নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়। সুপ্রিম কোর্ট ওই নিয়োগ প্রসঙ্গেই সরকারকে প্রশ্ন করেছে, ‘‘যেখানে আপনার উপসচিব, প্রিন্সিপাল সচিব, এমনকি বনমন্ত্রীও নিয়োগ নিয়ে আপত্তি তুলছেন, সেখানে ওই অফিসারের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ‘বিশেষ স্নেহে’র কারণ কী?’’

মামলাটি শুনানির জন্য উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি পিকে মিশ্র এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে। বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার জানায়, ওই অফিসারের নিয়োগ গত মঙ্গলবার, অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বরই বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু বিচারপতিরা সেই জবাবেও শান্ত হননি। মুখ্যমন্ত্রী ধামির সরকারের উদ্দেশে তাঁরা বলেন, ‘‘উনি মুখ্যমন্ত্রী বলে যা খুশি তা-ই করতে পারেন? একজন অফিসারের নিয়োগ নিয়ে সমস্ত আপত্তি তিনি এড়িয়ে গেলেন? এক বারও ভাবার প্রয়োজন মনে করলেন না কেন আপত্তি উঠছে?’’

সুপ্রিম কোর্টের ওই প্রশ্নের জবাবে রাজ্য সরকার বলেছিল, ‘‘একজন দক্ষ অফিসার, যাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই, তাঁকে স্রেফ কিছু আপত্তির জন্য বলি দেওয়া যায় না।’’ এর জবাবে সুপ্রিম কোর্ট পাল্টা বলে, ‘‘যদি কোনও অভিযোগ না-ই থেকে থাকে, তা হলে আপনারা তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করছেন কেন? যার-তার বিরুদ্ধে তো আর এমন তদন্ত করা হয় না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Supreme Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy