প্রায় দু’দশক পুরনো মামলার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির অভিজাত এলাকা বসন্তকুঞ্জ এলাকায় থাকা ১০০ বছরের পুরনো শ্মশানকে কিষাণগঢ় এলাকায় স্থানান্তরের জন্য দক্ষিণ দিল্লি পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট। শুক্রবার হাই কোর্টের প্রায় দু’দশক আগের সেই নির্দেশ বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রত্যেকটি জনবসতি এলাকার মানুষ যদি চান তাঁদের এলাকা থেকে দাহকার্যের জায়গা অন্যত্র করা হোক, তাহলে কোথাও আর জায়গা থাকবে না। একই সঙ্গে মাসুদপুর এলাকার পুরনো সেই শ্মশানঘাটকে আধুনিক করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ। এর জন্য পুরসভাকে সময় দেওয়া হয়েছে এক বছর।
বছর কুড়ি আগে দিল্লি হাই কোর্টে একটি মামলা করেছিলেন বসন্তকুঞ্জের আবাসিকরা। তাঁদের দাবি ছিল এলাকার শ্মশানটিকে বন্ধ করে দেওয়া হোক। পরিবর্তে পাশের এলাকা কিষাণগঞ্জে একটি শ্মশানঘাট হোক। আদালতে এই মামলা জেতে বসন্তকুঞ্জের ‘রেসিডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশকে বাতিল করেছে। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, মাসুদপুর গ্রামের শ্মশান অনেক পুরনো। অভিজাত আবাসিক কলোনি হিসাবে বসন্তকুঞ্জ গড়ে ওঠার অনেক আগে থেকে সেখানে শ্মশান ছিল।
শীর্ষ আদালত বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে জানায়, মাসুদপুর শ্মশানঘাটের বয়স ৬৫ বছর। অন্য দিকে, বসন্তকুঞ্জ কলোনি গড়ে ওঠে ১৯৯০ সালে। মানুষ এসে শ্মশানের পাশে বসবাস শুরু করলে, সেই শ্মশানঘাট বন্ধ করে অন্যত্র আর একটি করতে হবে, এটা কোনও যুক্তি নয়।
অন্য দিকে, বসন্তকুঞ্জের আবাসিকদের তরফে আইনজীবী যুক্তি দেন, শ্মশানের কারণে স্থানীয় মানুষদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত নানা সমস্যা হচ্ছে। সে বিষয়টি বিচার করে দেখা উচিত। এই যুক্তি মেনে নেয় শীর্ষ আদালত। আগামী বারো মাসের মধ্যে মাসুদপুর শ্মশানটি আধুনিক করতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy