আরজি কর-কাণ্ডে শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে তিন বিচারপতির বেঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত।
আরজি কর-কাণ্ডে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ফের ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দিল সিবিআই। রিপোর্ট দেখে তিন বিচারপতি জানালেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের রিপোর্ট দেখে তাঁরা ‘বিচলিত’। সেই সঙ্গে, তদন্ত শেষ না হওয়া অবধি রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আনার নির্দেশ দিল বেঞ্চ। মঙ্গলবার চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘সিবিআই রিপোর্টে যা লিখেছে, তা খুবই উদ্বেগের।’’ রিপোর্ট পড়ে তাঁরা ‘বিচলিত’ বলেও জানান প্রধান বিচারপতি।
মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে আরজি কর মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। সেখানেই তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে ফের এক দফা রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় দলের তরফে সিবিআই আধিকারিক সত্যজিৎ সিংহ ওই রিপোর্ট বিচারপতিদের হাতে তুলে দেন। রিপোর্ট পড়ে দেখার পর তিন বিচারপতির মত, আরজি কর-কাণ্ডের তদন্ত ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়’ রয়েছে। এর পরেই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “সিবিআই ঘুমিয়ে নেই। তারা তদন্ত করছে। তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “তদন্ত চলছে। এই অবস্থায় রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে তদন্তপ্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”
তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে সিবিআইকে এক প্রকার বাহবাও দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তারা বলে, “আমরা তদন্ত রিপোর্ট দেখেছি। যে বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, তদন্তে সেগুলি উঠে এসেছে। ময়নাতদন্তের চালান দেওয়া হয়েছিল কি না, ময়নাতদন্তের পদ্ধতি যথাযথ ভাবে মানা হয়েছে কি না, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট— সব কিছুই রিপোর্টে বলা হয়েছে।’’
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে কারা উপস্থিত ছিলেন, সেই সব নাম জমা দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। নির্যাতিতার বাবা যে সব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, খতিয়ে দেখতে হবে তা-ও। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, তদন্তের স্বার্থে ওই বিষয়গুলি নিয়ে সিবিআইকে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। তদন্তে সাহায্য করবে কলকাতা পুলিশও।
তবে তদন্তের অগ্রগতি দেখে খুশি সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু কী রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের রিপোর্টে, তদন্তের স্বার্থে এখনই জানা যাচ্ছে না সে সব। তার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy