—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আর জি কর-কাণ্ডে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ ভাবে যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের উপর যেন কোনও ভাবে প্রশাসনের রোষানলের আঁচ না পড়ে।
দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আজ জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যে ক্ষমতা তা যেন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে শামিল মানুষের উপরে নেমে না আসে। চিকিৎসক হোক বা নাগরিক সমাজ— যাঁরাই শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, সমাজমাধ্যমে নিজেদের মতপ্রকাশ করছেন, তাঁদের উপরে রাজ্যের ক্ষমতার কোপ পড়তে দেওয়া চলবে না। এটা ‘ন্যাশনাল ক্যাথারসিস’ বা ‘জাতির অবরুদ্ধ ক্ষোভ প্রকাশের সময়কাল’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি।
এ দিকে পশ্চিমবঙ্গে আন্দোলন থামাতে বলপ্রয়োগ করা হচ্ছে, আন্দোলনকারীদের ভয় দেখানো হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে সরব হন বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী। পশ্চিমবঙ্গে সংবিধান বিপন্ন বলে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ও প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনের মতো শীর্ষ নেতাদেরও প্রশাসনের কোপে পড়তে হচ্ছে। তা হলে প্রতিবাদ জানাতে পথে নামা আমজনতাকে কী পরিমাণ অত্যাচারের মুখে পড়তে হচ্ছে তা সহজেই অনুমেয়। যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে। অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে বলতে হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে সংবিধান বিপন্ন।’’
আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদের সুর শোনা গিয়েছিল রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের গলায়। ফলে তাঁকে দলের মুখপাত্রের পদ হারাতে হয়। ওই কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামেন রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর। এমনকি, সমাজমাধ্যমে তিনি দাবি করেন, সিবিআইয়ের উচিত কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা। শাসক দলের সাংসদের ওই দাবিকে ঘিরে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় দলের অন্দরে। তার পরেই গত রবিবার দু’দফায় নোটিস পাঠিয়ে লালবাজাকে হাজিরা দিতে বলা হয় সুখেন্দুকে।
তবে সুধাংশুর অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের পাল্টা, মানুষের প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু যারা আইন হাতে তুলে নিয়েছে, বা আর জি কর কাণ্ডের বিষয়ে তথ্য রয়েছে তাঁদের কেবল ডাকা হচ্ছে। এটা যদি উত্তরপ্রদেশ হত তাহলে এত ক্ষণে তো এনকাউন্টার বা বুলডোজ়ার চলত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy