Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Community Kitchen

‘কমিউনিটি কিচেন’ চলবে কি না তা ঠিক করবে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

করোনা পর্বে দেশ জুড়ে অনেক জায়গায় এই ‘কমিউনিটি কিচেন’ তৈরি হয়েছিল। সরকারি উদ্যোগেই সেই সব ‘কমিউনিটি কিচেন’ চালু হয়। অনেক জায়গায় দেখা যায় কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও ‘কমিউনিটি কিচেন’ তৈরি করে।

Supreme Court leaves to states to decide on setting up community kitchens

‘কমিউনিটি কিচেন’ সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:০৮
Share: Save:

‘কমিউনিটি কিচেন’ চলবে কি না, তা ঠিক করবে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। ‘কমিউনিটি কিচেন’ সম্পর্কিত দায়ের হওয়া এক জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। ‘কমিউনিটি কিচেন’ নিয়ে নীতি প্রণয়নের জন্য আদালত কোনও নির্দেশ দিতে পারে না বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। মামলা খারিজ করলেও বিষয়টি রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারকে ভেবে দেখতে বলেছে তারা।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের বেঞ্চে ‘কমিউনিটি কিচেন’ সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘‘জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন (এনএফএসএ)-এর উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য ‘কমিউনিটি কিচেন’ ধারণাটি ভাল বিকল্প হতে পারে কি না, তা আমরা পরীক্ষা করে দেখতে পারি না। বরং এনএফএসএ-র অধীনে ‘কমিউনিটি কিচেন’ জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের অধীনে আসতে পারে কি না, তা বিবেচনা করার ভার সংশ্লিষ্ট রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের উপরই ছাড়ছে আদালত।’’

করোনা পর্বে দেশ জুড়ে অনেক জায়গায় এই ‘কমিউনিটি কিচেন’ তৈরি হয়েছিল। সরকারি উদ্যোগেই সেই সব ‘কমিউনিটি কিচেন’ চালু হয়। অনেক জায়গায় দেখা যায় কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও ‘কমিউনিটি কিচেন’ তৈরি করে। ২০২১ সালে অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্ট এক মামলার শুনানিতে কেন্দ্র সরকারকে ‘কমিউনিটি কিচেন’ বা অনুরূপ কোনও ব্যবস্থার সম্ভাব্যতা বিবেচনা করার জন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসার নির্দেশ দেয়।

এ ছাড়াও শিশুদের মধ্যে অপুষ্টিজনিত সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল শীর্ষ আদালত। রাজ্যগুলির থেকে রিপোর্টও তলব করা হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার কেন্দ্র এবং রাজ্য— উভয়ই জানিয়েছে অনাহারে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তার পরই সুপ্রিম কোর্ট জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দেয়।

কেন্দ্র আদালতে জানিয়েছে, মামলার আবেদনপত্রে যে উদ্বেগের কথা বলা হয়েছে তা সমাধান করার জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্য দিকে, ২০২৩ সালে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১২৫টি দেশের মধ্যে ১১১তম স্থানে রয়েছে ভারত। ওই সূচক আরও জানায়, শিশুদের অপুষ্টির হার এ দেশে ১৮.৭ শতাংশ, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। যদিও এই সূচক প্রকাশিত হওয়ার পরেই তাকে ‘পদ্ধতিগত ভাবে ত্রুটিযুক্ত’ এবং ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ বলে খারিজ করে দেয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি উত্থাপন হলে, তা ‘সঠিক নয়’ বলে দাবি করা হয় কেন্দ্রের তরফে।

অন্য বিষয়গুলি:

Community Kitchen Supreme Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy