Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

হোম নিয়ে রিপোর্টে হতবাক বিচারপতিরা

মুজফ্‌ফরপুর বেসরকারি হোম কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত, প্রভাবশালী ব্রজেশ ঠাকুরকে বিহারের বাইরের কোনও জেলে কেন পাঠানো হবে না, তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটনা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৩৬
Share: Save:

মুজফ্‌ফরপুর বেসরকারি হোম কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত, প্রভাবশালী ব্রজেশ ঠাকুরকে বিহারের বাইরের কোনও জেলে কেন পাঠানো হবে না, তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। এ ব্যাপারে ব্রজেশকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিস দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকেও। আজ সুপ্রিম কোর্টে তদন্তকারী সিবিআইয়ের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই মামলাকে হোমের মালিক ব্রজেশ প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছে সর্বোচ্চ আদালত। মামলার তদন্তেও ব্রজেশ বাধার সৃষ্টি করতে পারে বলেও আদালতের ধারণা। সম্প্রতি সিবিআইয়ের অনুরোধে ব্রজেশকে মুজফ্ফরপুর জেল থেকে ভাগলপুর জেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এ দিন সিবিআইয়ের জমা করা স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেখার পরে তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ কার্যত শিউরে উঠেছে। বিচারপতি মদন বি লোকুর, বিচারপতি এস আব্দুল নাজির ও বিচারপতি দীপক গুপ্তর বেঞ্চ বলে, এই রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট, কী ভাবে এই অপরাধ সংগঠিত করা হয়েছে। এ নিয়ে বিহার সরকারকে তিরস্কার করেছে আদালত। বিচারপতিদের মতে, এমন ‘ভীতিকর’ ও ‘ভয়ানক’ ঘটনার কথা ভাবাই যায় না। এই ঘটনার পরে রাজ্য কী পদক্ষেপ নিয়েছে তাও জানতে চেয়েছে আদালত।

রাজ্যের প্রাক্তন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী মঞ্জু বর্মার স্বামী চন্দ্রেশ্বর বর্মাকে এখনও কেন গ্রেফতার করা হয়নি তা নিয়েও রাজ্য সরকার এবং সিবিআইকে একহাত নিয়েছে আদালত। ব্রজেশের অন্যতম সহযোগী হিসেবে উঠে এসেছিল চন্দ্রেশ্বরের নাম। তার জেরেই মঞ্জুদেবীকে ইস্তফা দিতে হয়। আদালত তাঁদের আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করার পরেও কেন গ্রেফতার করা হয়নি, সেই কৈফিয়ৎও আদালত চেয়েছে। এপ্রিলে টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস রাজ্যের আবাসিক হোমগুলির অডিট রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টেই ব্রজেশ ঠাকুরের হোমের জঘন্য ছবি সামনে আসে।

অন্য বিষয়গুলি:

Supreme Court Report Brajesh Thakur Home
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE