ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় কিছুটা স্বস্তি পেলেন জগন্মোহন রেড্ডির দলের ‘বিদ্রোহী’ সাংসদ কে রঘু রামকৃষ্ণ রাজু। শারীরিক পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য তাঁকে অবিলম্বে তেলঙ্গানার সেনা হাসপাতালে ভর্তি করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ওই হাসপাতালে থাকার সময়ে তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকবেন।
অন্ধ্রপ্রদেশের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতা-সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে বেশ কিছু দিন ধরে জগন্মোহন সরকারের সমালোচনা করছিলেন রাজু। ১৫ মে তাঁকে হায়দরাবাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে অন্ধ্র পুলিশের সিআইডি। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধে উস্কানি দেওয়া-সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়। অন্ধ্র পুলিশ অভিযোগ করে, বেশ কিছু দিন ধরে ওই সাংসদ রাজ্য সরকারের প্রতি বিরুপ মনোভাব তৈরির চেষ্টা করছেন।
অন্ধ্র হাই কোর্টে জামিনের আর্জি খারিজ হওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রাজু ও তাঁর ছেলে ভরত। এ দিন শুনানির সময়ে রাজুর আইনজীবী মুকুল রোহতগি জানান, ওই সাংসদ বেশ কিছু দিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের সমালোচনা করছেন। কিন্তু তিনি কোনও বিদ্রোহে উস্কানি দিয়েছেন এমন প্রমাণ নেই। আগেই তাঁকে সুরক্ষা চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করতে হয়েছিল। তাই এই বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
রোহতগি আরও জানান, হেফাজতে থাকার সময়ে রাজুকে মারধর করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পেশ করার সময়ে তাঁর পায়ে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছিল। ম্যাজিস্ট্রেটও হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাই কোনও বেসরকারি বা নিরপেক্ষ হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো উচিত।
সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সাংসদের সম্প্রতি বাইপাস সার্জারি হয়েছে। তাঁর দেহে আঘাতের চিহ্নের কথা মেডিক্যাল রিপোর্টে রয়েছে। ফলে তাঁকে এখনই শারীরিক পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য তেলঙ্গানার সেনা হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ওয়াই স্তরের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য যে নিরাপত্তারক্ষীরা রাজুর সঙ্গে থাকেন তাঁরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে থাকবেন। তিন সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড রাজুর শারীরিক পরীক্ষা করবে। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়ো তোলা হবে। শারীরিক পরীক্ষার সময়ে এক জন বিচারবিভাগীয় আধিকারিক উপস্থিত থাকবেন।
রাজুর পাশাপাশি ওই মামলায় দু’টি চ্যানেলের বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার মধ্যে একটি চ্যানেল ওই অভিযোগ খারিজের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy