বেঙ্গালুরুর এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে ধর্ষণ ও খুনের অপরাধে এক গাড়িচালককে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে এই কথাই বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল ছবি।
শুধু ১৪ বছর (ন্যূনতম) নয়, ২০ বা ৩০ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়ে তাকেও যাবজ্জীবন সাজা হিসেবে ঘোষণা করতে পারে যে কোনও সাংবিধানিক আদালত। বেঙ্গালুরুর এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে ধর্ষণ ও খুনের অপরাধে এক গাড়িচালককে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে এই কথাই বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০০৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর তরুণীর অফিসেরই গাড়িচালক শিবকুমার তাঁকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে ধর্ষণ ও খুন করে। কর্নাটক হাই কোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে যায় শিবকুমার। বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ গত কাল শিবকুমারের আর্জি খারিজ করে বলেছে, আসামির সংশোধনের সম্ভাবনার কথা ভেবে এমন অপরাধের ক্ষেত্রে নরম মনোভাব নিলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা চলে যাবে। তাই ৩০ বছরের সাজার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আসামি পক্ষ যুক্তি দেয়, মৃত্যুদণ্ড মকুব ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে এ ভাবে সাজার মেয়াদ পাল্টানো বা বেঁধে দেওয়া যায় না। তখন শীর্ষ আদালত বলে, যে মামলায় ফাঁসির আদেশ জারি বা প্রস্তাব করা হয়নি, সেখানেও আদালত তার ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে যাবজ্জীবনের মেয়াদ পরিবর্তন করে দিতে পারে অথবা মেয়াদ বেঁধে দিতে পারে— যা ১৪ বছরের বেশি হবে। সে ক্ষেত্রে তা ২০ বছর, ৩০ বছর বা আরও বেশিহতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy