প্রতীকী ছবি।
পুলিশ বলছে, এখনও প্রমাণ মেলেনি। তবু দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় বছর পনেরোর এক কিশোর আত্মঘাতী হওয়ার পিছনে ফের সেনার দিকেই আঙুল উঠল। চন্দিগাম গ্রামের ইয়াবর আহমেদ বাট নামে মৃত ওই কিশোরের পরিবারের দাবি, জওয়ানদের হাতে মার খেয়েই বাড়ি ফিরে বিষ খায় তাঁদের ছেলে। মারা যায় বৃহস্পতিবার। সেনা আগাগোড়া অভিযোগ অস্বীকার করলেও, স্থানীয়দের চাপের মুখে আজ এই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। ইয়াবর যে আত্মহত্যাই করেছে, তা আজ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ডাক্তারি রিপোর্টেও।
এ বছরই ক্লাস টেনের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল ইয়াবরের। তার পরিবারের অভিযোগ, গত সোমবার তল্লাশি-তদন্তের নামে সেনা ইয়াবরকে আটক করে বেধড়ক মারে। মঙ্গলবার বাড়ি ফেরার পর থেকে দিনভর মুখ বুজে পড়েছিল সে। রাতে বিষ খায়। তখনই মহারাজা হরিসিংহ হাসপাতালে ইয়াবরকে ভর্তি করা হলেও, বৃহস্পতিবার রাতে সে মারা যায়। তার পর থেকেই ফুঁসছেন স্থানীয়েরা।
তাঁরা জানাচ্ছেন, ঘটনার আগের দিন এলাকায় একটা গ্রেনেড হামলা হয়। তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে জওয়ানদের বিরুদ্ধে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। এবং এর জেরেই টহল দিতে গিয়ে ইয়াবর ও তার এক বন্ধুকে রাস্তা থেকে তুলে মারধর করে সেনা। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি ফিরে ইয়াবর তার দিদিকে সবটাই জানিয়েছিল বলে দাবি কিশোরের বাবার।
সেনা অভিযোগ অস্বীকার করলেও, স্থানীয়দের রোষের মুখে নড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। সিট গঠনের কথা জানিয়ে দক্ষিণ কাশ্মীরের ডিআইজি আজ বলেন, ‘‘পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই টহল দেওয়ার কথা সেনার। এ ক্ষেত্রে যদি অন্যথা হয়ে থাকে এবং সেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, আমরা নিয়ম মেনেই মামলা দায়ের করব।’’
আজ ইয়াবরের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের ৭ কিলোমিটার আগেই আটকে দেয় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy