তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় খাদ্য, গণবণ্টন এবং ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে জোড়া সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হলেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যসভা ও লোকসভার সম্মিলিত ৩১ জনের এই কমিটিতে রয়েছেন ফারুক আবদুল্লা, মেরি কমের মতো সাংসদেরা।
বিরোধী নেতাদের সরিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলির চেয়ারম্যানের পদ নিজেদের দখলে নিচ্ছে বিজেপি— এই অভিযোগে বহু দিন থেকেই সরব কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো দলগুলি। সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা কিংবা রুখে দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিটিগুলির ভূমিকা রয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী সরকার বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলি কুক্ষিগত করার পাশাপাশি সংসদের গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতেও আধিপত্য বজায় রাখতে চাইছে। তবে শেষ পর্যন্ত এ ব্যাপারে শিকে ছিঁড়েছে তৃণমূলের ভাগ্যে। গতকাল এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরে সুদীপবাবু বলেন, “বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই সংসদীয় কমিটির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অনেক কাজ করা সুযোগ রয়েছে।” তাঁর কথায়, “বাংলার কোনও সাংসদ যে অন্তত একটি সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের পদ পেয়েছে, তাতে আমি খুশি।” সূত্রের মতে, কৃষিবিল নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার পর খাদ্য, গণবণ্টন ও ক্রেতা সুরক্ষা কমিটির গুরুত্ব আরও বেড়েছে।
ঘটনা হল, পশ্চিমবঙ্গ থেকে লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে রাজ্যের মোট ৫৮ জন সাংসদের মধ্যে সুদীপবাবু ছাড়া কেউই এ বারে সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের পদ পাননি। প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যের বিজেপি সাংসদদের কাউকে কেন দেওয়া হল না ওই পদ? সামনেই বিধানসভা ভোট, আর তাতে সর্বাত্মক ভাবে ঝাঁপাতে চাইছে মোদী-অমিত শাহের দল। অনেকেই মনে করেন, এই ধরনের কমিটিগুলির রাজনৈতিক গুরুত্বও যথেষ্ট। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের জবাব, “পশ্চিমবঙ্গ থেকে আমাদের বেশিরভাগই প্রথমবারের সাংসদ। সংসদীয় রাজনীতি ও রীতিনীতি সম্পর্কে স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের অভিজ্ঞতা কম। সম্ভবত সে কারণেই চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়নি। গোটা বিষয়টিই দল এবং স্পিকার স্থির করবেন। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই।” তবে তৃণমূলের এক সাংসদের কটাক্ষ, বাংলা থেকে জিতে আসা বিজেপি সাংসদদের উপর সংসদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে আস্থা রাখতে পারছে না দল, এই ঘটনায় সেটাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy