আমদাবাদে এক স্বাস্থ্যকর্মীকে কোভিশিল্ড প্রতিষেধক। ছবি রয়টার্স।
গণটিকাকরণের প্রথম দিনেই ভারত বায়োটেক সংস্থার প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন নেওযার প্রশ্নে আপত্তি জানিয়ে সরব হন রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধকে আপত্তি রয়েছে দিল্লির এমসের চিকিৎসকদের একাংশের। কেন্দ্র পরিচালিত দিল্লির দুই প্রধান সরকারি হাসপাতালে প্রতিষেধক নেওয়ার প্রশ্নে স্বাস্থ্যকর্মীদের যে দ্বিধা ও সংশয় রয়েছে তা কাটানোর দায় রাজ্য সরকারের বলে আজ দায় ঝেড়ে ফেলল কেন্দ্র। একই সঙ্গে যে রাজ্যগুলিতে দু’ধরনের প্রতিষেধক গিয়েছে, সেই রাজ্যে টিকা কেন্দ্রগুলিতে দু’টির মধ্যে কোন প্রতিষেধক যাবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বলে আজ স্পষ্ট করে দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ আজ বলেন, ‘‘প্রতিষেধক নেওয়ার প্রশ্নে এ ধরনের দ্বিধা সব দেশেই লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির উচিত, ধারাবাহিক ভাবে প্রতিষেধকপ্রাপকদের সামনে নিয়ে জনসমাজে যে সংশয় রয়েছে, তা দূর করা। প্রতিটি রাজ্যের ওই পদক্ষেপ করা উচিত।’’
গোড়া থেকেই কেন্দ্রের অবস্থান হল, জোগানের উপর নির্ভর করে প্রতিষেধক পাঠানো হবে রাজ্যগুলিকে। আলাদা করে তাই রাজ্যগুলিকে প্রতিষেধক কিনতে বারণ করে কেন্দ্র। প্রথম ধাপে দেশের ১২টি রাজ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা সংস্থার কোভিশিল্ডের সঙ্গেই কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধক পাঠায় কেন্দ্র। ওই ১২টি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে দিল্লিও। যারা দুই সংস্থারই প্রতিষেধক পেয়েছে। দিল্লির ৮১টি টিকাকেন্দ্রের মধ্যে ৭৫টি কোভিশিল্ড ও ছ’টিতে কোভ্যাক্সিনের মাধ্যমে টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ রাজেশ ভূষণ বলেন, ‘‘কোভ্যাক্সিনের মাধ্যমে কোথায় টিকাকরণ হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব কেজরীওয়াল সরকারের। এখানে কেন্দ্রের কোনও ভূমিকা নেই।’’ যার অর্থ, রামমনোহর লোহিয়া বা এমসে চিকিৎসকদের মধ্যে কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধক নেওয়ার প্রশ্নে যে সংশয় তৈরি হয়েছে তার যাবতীয় দায় দিল্লি সরকারের বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
শনিবার টিকাকরণ অভিযান শুরুর পর থেকে প্রতিষেধক নেওয়ার পরে ঘটনাচক্রে মারা গিয়েছেন দু’জন। পাঁচশোর বেশি মানুষের শরীরে দেখা গিয়েছে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। আজ এ প্রসঙ্গে রাজেশ ভূষণ বলেন, ‘‘প্রতিষেধক যারা নিয়েছেন তাদের মধ্যে ০.১৮ শতাংশের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। আর মাত্র ০.০০২ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিদেশের তুলনায় যা অনেক কম। আসলে প্রতিষেধক নেওয়ার প্রশ্নে অনেকেই উদ্বেগের শিকার হয়েছেন। কিছু ক্ষণ পরে তারা সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। তাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রভাব খুব সামান্যই বলা চলে।’’ তাই দু’ধরনের প্রতিষেধক নেওয়া নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই বলেই দাবি করেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy