ফাইল চিত্র।
লড়াই মূলত দুই আইপিএস অফিসারের মধ্যে। রাকেশ আস্থানা ও যোগেশ চন্দ্র মোদী। সরকারি মহলে এই দু’জনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আস্থাভাজন বলে পরিচিত।
তৃণমূলের মন্ত্রী-নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের পদক্ষেপ নিয়ে রাজ্য রাজনীতির উথালপাতালের মধ্যেই সোমবার পরবর্তী সিবিআই ডিরেক্টর বাছাই করতে বৈঠক বসছে। প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা ও লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি সোমবার সন্ধেয় বৈঠকে বসবে।
সরকারের অন্দরমহলের খবর, নতুন ডিরেক্টর হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন রাকেশ আস্থানা ও যোগেশ চন্দ্র মোদী। গুজরাত ক্যাডারের আইপিএস আস্থানা এখন একই সঙ্গে বিএসএফ ও নারকোটিক্স কন্ট্রোল বুরোর শীর্ষপদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। মোদী রয়েছেন এনআইএ-র ডিজি-র পদে। এই দু’জনের মধ্যে আবার আস্থানার দিকেই পাল্লা ভারি বলে আইপিএস মহল মনে করছে।
নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে আস্থানার নেতৃত্বেই গোধরা কাণ্ডর তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন হয়েছিল। তার আগে পর্যন্ত পুলিশের চার্জশিটে কোথাও বলা হয়নি যে করসেবকদের উপরে পরিকল্পিত ভাবে হামলা হয়েছিল। আস্থানার নেতৃত্বে এসআইটি তদন্ত শেষে বলে, স্থানীয় মুসলিমদের মদতে পরিকল্পিত ভাবে সবরমতী এক্সপ্রেসে করসেবকদের উপরে হামলা হয়। এনআইএ-প্রধান যোগেশ চন্দ্র মোদী আবার গোধরা-কাণ্ড পরবর্তী গুজরাতে দাঙ্গার তদন্তকারী দলের সদস্য ছিলেন। সেই কমিটি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীকে দাঙ্গার ঘটনায় ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছিল। সিবিআই ডিরেক্টর বাছাই কমিটিতে আলোচনার জন্য কর্মিবর্গ দফতর মূলত ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭-র ব্যাচের উপযুক্ত আইপিএস অফিসারদের তালিকা তৈরি করেছে। ১৯৮৪ ব্যাচের আস্থানা ও মোদী তাঁদের মধ্যে প্রবীণতম।
এ ছাড়া, সিআইএসএফ প্রধান সুবোধ জয়সওয়াল, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি হিতেশ চন্দ্র অবস্থি, কেরল ক্যাডারের লোকনাথ বেহরার নামও তালিকায় রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ঋষিকুমার শুক্ল অবসর নেওয়ার পরে আপাতত প্রবীণ সিন্হা অন্তর্বর্তী ডিরেক্টরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
আস্থানা এর আগে সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর পদে ছিলেন। সে সময় তাঁর সঙ্গে তৎকালীন ডিরেক্টর অলোক বর্মার দ্বন্দ্বে সিবিআইয়ের অন্দরে কার্যত গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। বর্মা আস্থানার বিরুদ্ধে, আবার আস্থানা বর্মার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের মামলা শুরু করেছিলেন। তার আগেও আস্থানার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ছিল।
সরকারি সূত্রের দাবি, সিবিআই ডিরেক্টর পদে আস্থানার রাস্তা সাফ করতে দু’টি দুর্নীতির অভিযোগ থেকেই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। গত বছরেই মাংস ব্যবসায়ী মইন কুরেশির ঘুষের মামলা থেকে আস্থানাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। গুজরাতে স্টার্লিং বায়োটেক সংস্থার থেকে আস্থানা প্রায় ৪ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল। সম্প্রতি সেই অভিযোগ থেকেও তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ঋষিকুমার শুক্ল ফেব্রুয়ারিতে ডিরেক্টর পদ থেকে অবসর নেওয়ার আগে সেই ফাইলে সই করে গিয়েছেন বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy