ফাইল চিত্র।
চলতি মাসেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল ও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামিকাল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দিল্লি সফর সেই জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দিল। অনেকেই মনে করছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জেডিইউ সাংসদদের জায়গা নিশ্চিত করতেই দিল্লি আসছেন নীতীশ।
সূত্রের খবর, গত কাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাড়িতে একটি বৈঠক হয়েছে। অমিত শাহ ছাড়াও ছিলেন পীযূষ গয়াল, ধর্মেন্দ্র প্রধান, নরেন্দ্র সিংহ তোমর, নির্মলা সীতারামন। বৈঠকে শরিক দলের দাবি-দাওয়া, জাত-পাতের সমীকরণ মেনে কী ভাবে মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটানো যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এই আবহে নীতীশের দিল্লিতে আসা মন্ত্রিসভার বিস্তারের জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছে।
২০১৯-এ মোদীর দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় দু’জনকে মন্ত্রী করা নিয়ে অনড় ছিলেন নীতীশ। মোদী এক জনের বেশি নিতে রাজি ছিলেন না। সমঝোতা করতে রাজি হননি নীতীশও। গত দু’বছরে শিবসেনা ও অকালি দলের মতো পুরনো শরিকরা এনডিএ ছাড়ায় এখন একমাত্র বড় শরিক জেডিইউ। তারা ফের মন্ত্রিসভায় তাদের দু’জনকে নেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছে। যদিও তা মানার সবুজ সঙ্কেত এখনও দেয়নি মোদীর দল।
এ সব নিয়ে দর কষাকষি করতেই নীতীশ দিল্লি আসছেন বলে অনেকে মনে করলেও, তাঁর ঘনিষ্ঠ সাংসদ রাজীবরঞ্জন সিংহের দাবি, চোখের চিকিৎসা করাতে যাচ্ছেন তিনি। রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই, এটা ব্যক্তিগত সফর।
লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি)-র ছয় সাংসদের মধ্যে পাঁচ জনেরই চিরাগ পাসোয়ানের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পিছনে নীতীশের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। চিরাগ আজ এক সাক্ষাৎকারে একই অভিযোগ করেন। তাঁর বক্তব্য, নীতীশের কারণেই এলজেপি ভাঙছে। রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগের কথায়, ‘‘নীতীশ দলিত-বিদ্বেষী। নিজের দলেও তিনি দলিতদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।’’ এই প্রসঙ্গে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলিত নেতা জিতনরাম মাঁঝির পদত্যাগের প্রসঙ্গ টানেন তিনি। ‘নীতীশের মুখোশ’ খুলে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন চিরাগ। কাকা পশুপতিনাথ পারস এলজেপির রাশ হাতে তুলে নেওয়ায় নিজ দলেই একা হয়ে পড়েছেন চিরাগ। খুইয়েছেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় দলনেতার পদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy