ফাইল চিত্র।
চার বছর আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে এসেছিলেন। নভজ্যোত সিংহ সিধু কি এ বার কংগ্রেস ছেড়ে আম আদমি পার্টির দিকে পা বাড়াতে চলেছেন?
একই সঙ্গে সিধু ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল আজ এই জল্পনা উস্কে দিয়েছেন। আগামী বছরের গোড়াতেই পঞ্জাবে বিধানসভা ভোট। এক দিকে কেজরীবাল অমৃতসরে বসে ঘোষণা করেছেন, এক জন সুপরিচিত শিখ তাঁর দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন। অন্য দিকে সিধু এ বার সরাসরি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন।
পঞ্জাবে বেশ কিছু দিন ধরেই কংগ্রেসের অন্দরে অমরেন্দ্র বনাম সিধু ও অন্য কিছু নেতার সংঘাত চলছিল। কোন্দল সামলাতে আজ রাহুল গাঁধী পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। অমরেন্দ্র দিল্লিতে এসে পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার তিনি সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
কংগ্রেসের অন্দরে বিক্ষুব্ধ সিধু প্রথমে পঞ্জাবের মন্ত্রী, তার পরে উপ-মুখ্যমন্ত্রী, এমনকি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ দাবি করেছেন। খাতায়-কলমে অমরেন্দ্রর বিরুদ্ধে তাঁর প্রধান ‘ক্ষোভ’, গুরু গ্রন্থ সাহিব অপবিত্র করার মামলায় মুখ্যমন্ত্রী কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। অকালি দল-বিজেপি সরকারের জমানায় গুরু গ্রন্থ সাহিব অপবিত্র করার অভিযোগ উঠেছিল। সিধুর দাবি, অমরেন্দ্র প্রকাশ সিংহ-সুখবীর বাদলের পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে চান না। সিধুর মন্তব্য, “দুই পরিবার মিলে সরকারি ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে মুনাফা লুটছে।”
তাৎপর্যপূর্ণ হল, ওই গুরু গ্রন্থ সাহিব অপবিত্র করার ঘটনায় যিনি তদন্তে ছিলেন, তার পরে প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন, পঞ্জাব পুলিশের সেই প্রাক্তন আইজি কুঁয়ার বিজয় প্রতাপ আজ কেজরীবালের উপস্থিতিতে আম আদমি পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। এর পর কি সিধু? তাঁর সঙ্গেও কি কথাবার্তা চলছে? কেজরীবালের জবাব, “সিধু কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ওঁকে আমি সম্মান করি। তাঁর সম্পর্কে এমন হালকা ছলে কথা বলা ঠিক নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy