আগামী ১৪ মার্চ হোলির পরে এবং ২১ মার্চের আগেই বিজেপির পরবর্তী জাতীয় সভাপতি কে হবেন, সেই সিদ্ধান্ত হয়ে যেতে পারে। আরএসএস বা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ আগামী ২১ মার্চ থেকে বেঙ্গালুরুতে তিন দিনের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়েছে। এই বৈঠকে বিজেপির নতুন জাতীয় সভাপতি যোগ দেবেন বলে গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর। যদিও জগৎপ্রকাশ নড্ডার উত্তরসূরি হিসেবে কে বিজেপির পরবর্তী জাতীয় সভাপতি হতে চলেছেন, তা নিয়ে এখনও বিজেপির কোনও নেতাই নিশ্চিত নন।
আজ আরএসএসের জাতীয় মুখপাত্র সুনীল অম্বেকর জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুতে ২১ মার্চ থেকে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় দু’টি জাতীয় বিষয়ে প্রস্তাব গৃহীত হতে চলেছে। কী সেই দু’টি বিষয়, তা নিয়ে অবশ্য আরএসএস নীরব। অম্বেকর জানিয়েছেন, ‘হিন্দু জাগরণ’-এর পাশাপাশি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত ও সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসবলে হাজির থাকবেন। আরএসএসের গঠনতন্ত্রে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠকই সর্বোচ্চ নির্ণায়ক ব্যবস্থা। প্রতি বছর এই বৈঠকে সঙ্ঘ পরিবারের অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে বিজেপির জাতীয় সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদকেরাও যোগ দেন। আগামী বিজয়া দশমীতে আরএসএসের একশো বছর উদ্যাপন শেষ হতে চলেছে। সে দিক থেকে এ বারের বৈঠক আরও গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, দল চাইবে নয়া সভাপতিই এই বৈঠকে যোগ দিন।
বিজেপির সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় সভাপতি বাছাইয়ের আগে দেশের ৫০ শতাংশ রাজ্যের সভাপতি নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। বিজেপি এখনও পর্যন্ত ১৮টির মধ্যে ১২টি রাজ্যের সভাপতি নির্বাচন করতে পেরেছে। হোলির আগে আধ ডজন রাজ্যে সভাপতি নির্বাচন সম্ভব কি না, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে। যেমন পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী বিজেপি সভাপতি কে হবেন, তা নিয়েই এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। একই ভাবে বিজেপির পরবর্তী জাতীয় সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনায় বি এল সন্তোষ, ভূপেন্দ্র যাদব, মনোহরলাল খট্টর, ধর্মেন্দ্র প্রধান, জি কিষণ রেড্ডি থেকে ভানথি শ্রীনিবাসন, ডি পুরন্দেশ্বরী পর্যন্ত বহু নাম জল্পনায় এসেছে। যদিও আরএসএস শীর্ষ নেতৃত্ব ও বিজেপির দুই শীর্ষনেতার বাইরে কেউই জানেন না, কে হবেন পরবর্তী সভাপতি।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)