নীরব মোদী। —ফাইল চিত্র।
নীরব মোদীর ১৮টি সম্পত্তি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) হাতে তুলে দিল বিশেষ আদালত। ওই সম্পত্তির মূল্য ৭১.১৬ কোটি টাকা। মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে এই সম্পত্তিগুলি পেতে চেয়ে আবেদন করেছিল হিরে ব্যবসায়ীর কার্যকলাপে প্রতারিত ওই ব্যাঙ্ক। আদালত সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে। পলাতক আর্থিক অপরাধী আইনে এই সম্পত্তি হাতে এল পিএনবির।
এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি
হিরে ব্যবসায়ীর এই বিপুল সম্পত্তি এর আগে বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। বছর পাঁচেক আগে নীরবের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে মোট ৬৩৭ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল তারা। এর মধ্যে নীরবের ফ্ল্যাট, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা অর্থের পাশাপাশি কোটি কোটি টাকার গহনাও ছিল। সম্প্রতি বিশেষ আদালত যে ৭১.১৬ কোটি টাকার সম্পত্তি পিএনবির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইডিকে, তা ওই বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তিরই অংশ।
কী কী পেতে চলেছে পিএনবি?
এই ১৮টি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ২২ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকার গহনা রয়েছে। যা হংকংয়ের এক বিশেষ লকারে গচ্ছিত রেখেছিলেন নীরব। পরে তা ইডি আনিয়েছিল হংকং থেকে। এ ছাড়া রয়েছে দুবাই থেকে পাওয়া ১৮ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকার গহনা-সহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পত্তি। মুম্বইয়ের ফোর সিজ়ন হোটেলে ৩৫ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা মূল্যের ১৬টি গহনা প্রদর্শন করা ছিল নীরবের সংস্থার। সেগুলিও পাবে পিএনবি। এর পাশাপাশি কুর্লার কোহিনুর সিটিতে ২৪.৬৩ কোটি টাকার একটি অফিস (গাড়ি পার্ক করার জায়গা-সহ) এবং আটটি দামি গাড়ি, যার মধ্যে ২৬ লক্ষ টাকার একটি বিলাসবহুল বেন্টলি, প্রায় ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি ট্রাভেলার এবং ২.২৫ লক্ষ টাকার একটি অল্টোও হাতে পেতে চলেছে পিএনবি।
কতটা লাভ হল ব্যাঙ্কের?
ইডির অভিযোগ অনুযায়ী পিএনবির সঙ্গে সব মিলিয়ে ৭০২৯. ০৭ কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন নীরব। সেই হিসাবে এই ৭১.১৬ কোটি টাকার সম্পত্তির মূল্য মোট প্রতারণার মাত্র ১০ শতাংশ। ফলে ক্ষতিপূরণে সেটি প্রায় কিছুই নয়। সব মিলিয়ে নীরব মোদীর ১৩৯৬.০৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। এই সম্পত্তি কাদের হাতে যাবে, তার শুনানিও চলছে ওই বিশেষ আদালতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy