প্রতীকী ছবি।
ভারতে তৈরি প্রথম করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার সময়সীমা ফের পিছিয়ে দিল ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ (হু)। কিছু ‘টেকনিক্যাল’ কারণেই এই বিলম্ব বলে ‘হু’-র তরফে জানানো হয়েছে। মানবদেহে কোভ্যাক্সিন পরীক্ষার ফল সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর এখনও ‘হু’ পায়নি বলে সংস্থার একটি সূত্র জানাচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে বিদেশে যেতে চাওয়া ভারতীয়দের অনেকেই বিড়ম্বনায় পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যাঁরা কোভ্যাক্সিনের দু’টি টিকা নিয়ে শিক্ষা বা চাকরির জন্য আমেরিকা বা ইউরোপে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তাঁদের পক্ষে অনুমতি পাওয়া কঠিন হতে পারে।
কোভ্যাক্সিন টিকার নির্মাতা সংস্থা হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক লিমিটেডের দেওয়া মানবদেহে পরীক্ষার (হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) তৃতীয় পর্যায়ের তথ্য ইতিমধ্যেই বিশ্লেষণ করেছেন ‘হু’র বিশেষজ্ঞেরা। ভারত বায়োটেকের দাবি, করোনা প্রতিরোধে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী কোভ্যাক্সিন।
গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পওয়ার বলেছিলেন, ‘‘আমরা আশা করছি, শীঘ্রই কোভ্যাক্সিন ছাড়পত্র পাবে। তার আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের করোনা টিকা সম্পর্কিত জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটি(এনইজিভিএসি)-র চেয়ারম্যান তথা নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সদস্য ভি কে পাল জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ‘হু’-র অনুমোদন পেতে পারে কোভ্যাক্সিন।
জুলাই মাসে হু-র বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছিলেন, কোভিড টিকা কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রাথমিক ভাবে তাঁরা সন্তুষ্ট। প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত শুধু ভারতের তৈরি কোভিড-১৯ টিকা কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র দিয়েছে ‘হু’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy