সে দিন: সাক্ষাতে। ফাইল চিত্র।
সনিয়া গাঁধীর পরামর্শ না মেনেই প্রয়াত বালসাহেব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। তাতে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া। আত্মজীবনীতে এমনটাই জানিয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ইউপিএ-র স্বার্থরক্ষার জন্যই তাঁকে ঠাকরের সঙ্গে দেখা করতে হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন প্রণববাবু।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারের সময়ে বিভিন্ন রাজ্যে নানা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রণববাবু। বিজেপি-র জোটসঙ্গী হয়েও তাঁকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বালসাহেবের শিবসেনা। প্রণববাবুর মহারাষ্ট্র সফরের সময়ে ঠাকরের বাসভবন ‘মাতোশ্রী’-তে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বিপুল আয়োজনও করা হয়। প্রণববাবু জানিয়েছেন, ঠাকরের সঙ্গে দেখা করা নিয়ে সনিয়া গাঁধী ও ইউপিএ-র শরিক শরদ পওয়ারের মত চান তিনি। খুব একটা উৎসাহী ছিলেন না সনিয়া। কিন্তু এ নিয়ে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হন শরদ পওয়ার। তিনি প্রণববাবুকে জানান, না গেলে বিষয়টিকে ব্যক্তিগত অপমান হিসেবেই দেখবেন ঠাকরে।
আরও পড়ুন:আধার-জটে বন্ধ রেশন, বালিকা মৃত ঝাড়খণ্ডে
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, ইউপিএ সরকারের তখনও দু’বছর মেয়াদ বাকি। ফলে শরদ পওয়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ শরিককে ক্ষুব্ধ করতে চাননি তিনি। তা ছাড়া শিবসেনা প্রধান বিজেপির জোটসঙ্গী হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে সমর্থন করেছিলেন। তাঁর পূর্বসূরি প্রতিভা পাটিলকেও সমর্থন করেছিলেন ঠাকরে। কিন্তু প্রতিভা মহারাষ্ট্রের মানুষ। ফলে তখন ঠাকরের সমর্থনের পিছনে মরাঠি আবেগের প্রশ্ন ছিল। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে সেই যুক্তি খাটে না। প্রণববাবু জানান, ঠাকরের সঙ্গে দেখা করবেন বলেই মনস্থির করেন। পওয়ারকে অনুরোধ করেন, বিমানবন্দর থেকে তাঁর সঙ্গে ঠাকরের বাসভবনে যেতে।
প্রণববাবু জানিয়েছেন, ঠাকরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়েছিল তাঁর। প্রয়াত শিবসেনা প্রধান রসিকতা করে বলেছিলেন, ‘‘বাংলার বাঘকে মরাঠি বাঘ সমর্থন করবে এটাই তো স্বাভাবিক।’’ দিল্লি ফিরে আসার পরে কংগ্রেস নেত্রী গিরিজা ব্যাস তাঁকে জানান, ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সনিয়া ও তাঁর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেল ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy