অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা এবং নিহত শ্রদ্ধা ওয়ালকর। ফাইল চিত্র ।
বন্ধু, আমার কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খবর আছে। মৃত্যুর দিন বন্ধুকে ইনস্টাগ্রামে মেসেজ করে এমনটাই জানিয়েছিলেন শ্রদ্ধা ওয়ালকর! শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁর বন্ধুর সেই বার্তা বিনিময়ের ছবি ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে উঠে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশের হাতে পৌঁছনো তথ্য অনুযায়ী খুনের দিন অর্থাৎ ১৮ মে নাকি ভোর পর্যন্ত সমাজমাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন শ্রদ্ধা।
সূত্রের খবর, ‘খুনের’ দিন বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ বন্ধুকে মেসেজ করেন শ্রদ্ধা। সেই মেসেজে লেখা ছিল ‘বন্ধু, আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ খবর আছে। আমি একটা বিষয় নিয়ে অত্যম্ত ব্যস্ত হয়ে পড়েছি।’ একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ শ্রদ্ধার বন্ধু উত্তরে লেখেন, ‘কি খবর?’। কিন্তু এর পর আর কোনও উত্তর দেননি শ্রদ্ধা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এরপর শ্রদ্ধার ওই বন্ধু ১৫ সেপ্টেম্বর আফতাবের সঙ্গে যোগাযোগ করে শ্রদ্ধার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি আফতাবকে লিখেছেন, ‘ভাই, কি খবর? কোথায় ছিলে? তোমার সঙ্গে অনেক দিন কথা হয়নি। শ্রদ্ধাকে বলো আমাকে ফোন করতে।’
আফতাব এই বার্তার উত্তর না দিলে, শ্রদ্ধার বন্ধু তাঁর সঙ্গে ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও আফতাব ফোন তোলেননি।
প্রসঙ্গত, ছ’মাস আগে ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলিতে একত্রবাসে থাকা প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে খুনের অভিযোগ রয়েছে প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এর পর তিনি শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করেন। সেই মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখতে কেনা হয়েছিল নতুন ফ্রিজও। পরে ১৮ দিন ধরে ছতরপুর ছিটমহলের জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি ছড়িয়ে দিয়ে আসা হয়।
শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ ১২ নভেম্বর শনিবার আফতাবকে গ্রেফতার করে। সেই নিয়েই চলছে তদন্ত। তদন্তে নেমে একাধিক প্রমাণ উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। একটি ধারালো করাতও খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে এই করাত দিয়েই শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেন অভিযুক্ত আফতাব। খুঁজে পাওয়া গিয়েছে মাথার খুলির কিছু অংশ-সহ একাধিক হাড়ের টুকরো। সেই হাড়ের টুকরোগুলি শ্রদ্ধারই কি না জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy