বিনা টিকিটের যাত্রী ধরা কাজ যে টিকিট পরীক্ষকের, সেই টিকিট পরীক্ষকই ভুয়ো! শিয়ালদহ ডিভিশনের একাধিক শাখায় এমনই ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকেরা আচমকা ট্রেনে হানা দিয়ে জরিমানা আদায় করে চম্পট দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকি, তাদের চিহ্নিত করতে গিয়েও বেগ পেতে হচ্ছে রেলকর্তাদের।
বাঘের ঘরে এমন ঘোগের উপস্থিতি ধরতে এ বার শিয়ালদহ ডিভিশনের টিকিট পরীক্ষকদের জন্য চালু হচ্ছে কোডযুক্ত বিশেষ ব্যাজ। সেই ব্যাজ দেখলেই রেলের টিকিট পরীক্ষক এবং আধিকারিকেরা দূর থেকে দেখে চিনতে পারবেন। ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক বা জালিয়াতদের ধরার ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা তাঁদের পক্ষে কার্যকর হবে বলেই জানাচ্ছেন রেলের আধিকারিকেরা। শিয়ালদহের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার যশরাম মিনার উদ্যোগে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
বছরখানেক আগে বালিগঞ্জ স্টেশনে এমনই ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকদের নিয়ে গোলমাল হয়। দুই ভুয়ো টিকিট পরীক্ষককে রেলের আধিকারিকেরা আটক করেন। ভেন্ডর কামরায় গিয়ে যাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এই সমস্যা মেটাতেই নতুন ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
শিয়ালদহের নতুন ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার রাজীব সাক্সেনা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। দায়িত্ব পাওয়ার পরে তিনি রানাঘাট, ব্যারাকপুর, নৈহাটি স্টেশন পরিদর্শন করে ওই সব স্টেশনে রেলকর্মী ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিষেবা উন্নত করার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়ম রুখতে রেল কড়া পদক্ষেপ করবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)