গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
লোকসভা ভোটকে লক্ষ্য রেখে দেশে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। সোমবার এই অভিযোগ করলেন শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বলেন, ‘‘রামমন্দিরের নামে আবার গোধরা-কাণ্ডের মতো ঘটনার ষড়যন্ত্র চলছে।’’
আগামী জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যায় রামমন্দিরে উদ্বোধন করতে পারেন। সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোধরা-কাণ্ডের ছক অনুসরণ করে গোষ্ঠীহিংসা ছড়ানোর চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের। জলগাঁওতে একটি সভায় তিনি বলেন, ‘‘রামমন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে সারা দেশ থেকে বাস এবং ট্রেনে করে ভক্তদের অযোধ্যায় আনা হবে। তাঁরা কোথাও গোধরার মতো কাণ্ড ঘটাতে পারেন।
উদ্ধবের ওই মন্তব্যের পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। দলের নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘উদ্ধব সম্ভবত ভুলে গিয়েছেন, তার পিতা প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরে রামমন্দির আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের অভিযোগ, ক্ষমতা দখলের জন্য উদ্ধব আদর্শ বিকিয়ে দিয়েছেন। তাই শিবসেনা ভেঙেছে।
প্রসঙ্গত, ২০০২-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরায় সাবরমতী এক্সপ্রেসে করসেবকদের পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে। ট্রেনের এস-৬ কোচের অগ্নিকাণ্ডে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়। এঁদের অধিকাংশ ছিলেন অযোধ্যা থেকে ফেরা করসেবক। সেই ঘটনার পরই দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে গুজরাত জুড়ে। ঘটনাচক্রে বিধানসভা ভোটের ঠিক আগেই ঘটেছিল ওই ঘটনা। অভিযোগ, সরকারি মদতে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা হামলা চালায় সে রাজ্যের মুসলিমদের উপর। দাঙ্গার বলি হন হাজারেরও বেশি মানুষ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। দেশে-বিদেশে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়লেও ভোটে জিতে আসতে অসুবিধা হয়নি তাঁর। অভিযোগ, তীব্র সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের হাওয়ায় ভর করেই গোধরা-কাণ্ডের পরে প্রত্যাশা ছাপানো জয় পেয়েছিল বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy