আইপিএলের ইতিহাসে নিজের সেরা স্পেল করেছিলেন। ব্যাট হাতেও সুযোগ ছিল দলকে জেতানোর। কিন্তু পারেননি। আরও একটি ম্যাচে হেরেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে হারের পর নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি হার্দিক পাণ্ড্য। মাঠের ধারে হাউ হাউ করে কাঁদতে দেখা যায় তাঁকে।
ম্যাচের শেষে যখন দু’দলের ক্রিকেটারেরা হাত মেলাচ্ছেন, তখন দেখা যায় একা একা দাঁড়িয়ে রয়েছেন হার্দিক। তাঁর হাত কোমরে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, কাঁদছেন তিনি। হার্দিককে দেখে এগিয়ে আসেন মুম্বইয়ের এক সাপোর্ট স্টাফ। তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু হার্দিককে সামলানো যাচ্ছিল না।
লখনউয়ের বিরুদ্ধে হারের দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন হার্দিক। তাঁর মতে, ম্যাচ জিতিয়ে ফেরা উচিত ছিল। কিন্তু পারেননি তিনি। হার্দিক বলেন, “আমাদের ব্যাটিং ভাল হয়নি। দলগত ব্যর্থতা বলা যায়। আমাদের খামতি ছিল। আমরা দল হিসাবে যেমন জিতি, তেমনই দল হিসাবেই হারি। লখনউ ম্যাচে ব্যর্থতার দায় অধিনায়ক হিসাবে সম্পূর্ণ আমি নিচ্ছি।’’
আরও পড়ুন:
লখনউয়ের বিরুদ্ধে ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় মনে হচ্ছিল মুম্বই জিতবে। কিন্তু পর পর সূর্যকুমার যাদব আউট হওয়ার পর রান তোলার গতি কমে যায়। শেষ ওভারে জিততে দরকার ছিল ২২ রান। প্রথম বলে ছক্কা মারেন হার্দিক। কিন্তু দু’টি বলে রান হয়নি। সেখানেই খেলা হাত থেকে বেরিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ১২ রানে হারে মুম্বই। ১৬ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন হার্দিক। হার নিশ্চিত জেনে এক বার ব্যাট ছুড়ে ফেলতেও দেখা যায় তাঁকে। পরে কেঁদে ফেলেন তিনি।
গত মরসুমের আগে রোহিত শর্মাকে সরিয়ে হার্দিককে অধিনায়ক করেছিল মুম্বই। এই সিদ্ধান্ত ভাল ভাবে নেননি সমর্থকদের একাংশ। ওয়াংখেড়েতে বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়েছিল হার্দিককে। সে বারও খুব খারাপ খেলেছিল মুম্বই। এ বার অবশ্য শুরু থেকেই সমর্থন তাঁর সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু তার পরেও প্রথম চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটি হেরেছে মুম্বই। এই ফল হয়তো মেনে নিতে পারছেন না হার্দিক। সেই কারণে আবেগ ধরে রাখতে পারছেন না তিনি।