কুনোর জঙ্গলে আফ্রিকা থেকে আনা চিতা। —ফাইল চিত্র।
মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে রাখা চিতাদের শরীরে রেডিয়ো কলার থেকে সংক্রমণ হচ্ছে। পর পর চিতামৃত্যুর নেপথ্যে অন্যতম কারণ হতে পারে এই রেডিয়ো কলার। সম্প্রতি, কুনোর জঙ্গলে অবাধে ঘুরে বেড়ানো ছ’টি চিতার গলা থেকে রেডিয়ো কলার খুলে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’টি চিতার শরীরে ধরা পড়েছে সংক্রমণ। তাদের চিকিৎসা চলছে।
চলতি মাসেই কুনোয় পর পর দু’টি চিতার মৃত্যু হয়েছে। গত ১১ জুলাই এবং ১৪ জুলাই এই দুই চিতার মৃত্যুর পরেই অবাধে ঘুরতে থাকা ছ’টি চিতাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে নির্দিষ্ট ঘেরাটোপে। তাদের নাম পবন, পবক, আশা, ধীরা, গৌরব এবং সৌর। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের গলা থেকে রেডিয়ো কলার খুলে নেওয়া হয়। তার পর প্রতিটি চিতার স্বাস্থ্যপরীক্ষাও করা হয়।
গৌরব এবং সৌর নামের চিতা দু’টির শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। চিকিৎসকেরা সেই সংক্রমণকে ‘গুরুতর’ বলে মনে করছেন। এই দু’টি চিতাই নামিবিয়া থেকে আনা। এক বন আধিকারিক জানিয়েছেন, এই চিতাগুলির জন্য ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রেডিয়ো কলার থেকে এই ধরনের সংক্রমণ যাতে আর না হয়, তা-ও নিশ্চিত করা হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা চিতা বিশেষজ্ঞেরা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, এই রেডিয়ো কলারের জন্য চিতাগুলি সমস্যায় পড়ছে বলে তাঁদের অনুমান। আপাতত ঘেরাটোপে ফেরা বাকি চিতাগুলি সুস্থই আছে।
প্রসঙ্গত, যে কোনও বন্যপ্রাণ সংরক্ষণস্থলে রেডিয়ো কলার ব্যবহার করা হয়। পশুর গতিবিধির দিকে নজর রাখতে এগুলি কাজে লাগে। কোনও কারণে কোনও চিতাকে যদি খুঁজে না পাওয়া যায়, রেডিয়ো কলারের মাধ্যমে সহজেই তার অবস্থান জানা যাবে। সুন্দরবনের বাঘেদের গলাতেও রেডিয়ো কলার পরানো থাকে। কিন্তু জঙ্গলে বিভিন্ন রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় পশুরা। এর ফলে রেডিয়ো কলার কখনও ভেঙে যেতে পারে। তা থেকে পশুর শরীরে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনাও থাকে। কুনোতেও সেটাই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy