কাজের চাপে ভুগছিলেন নয়ডায় আত্মঘাতী জিএসটি আধিকারিক! এমনটাই দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী। মহিলার দাবি, তাঁর স্বামী ‘অব্যবস্থার (সিস্টেম) বলি’ হয়েছেন। ৫৯ বছর বয়সি সঞ্জয় সিংহ উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদে জিএসটি দফতরে ডেপুটি কমিশনার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সোমবার নয়ডায় নিজের ১৫ তলার ফ্ল্যাট থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ জানায়, পরিবারের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। গত পাঁচ বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন সঞ্জয়। পরিবারের সদস্যেরা তাঁদের বলেছেন, সম্ভবত ক্যানসারের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যদিও মৃত জিএসটি আধিকারিকের স্ত্রী অন্য কথা বলছেন।
সঞ্জয়ের স্ত্রী মঙ্গলবার জানান, তাঁর স্বামীর ক্যানসার ‘প্রাণঘাতী’ পর্যায়ে ছিল না। মহিলা বলেন, “তিনি (সঞ্জয়) প্রচণ্ড কাজের চাপের মধ্যে ছিলেন। হয়তো তাঁর দফতরের সহকর্মীরা এটা ভাল জানবেন।” সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ নয়ডায় সেক্টর ৭৫-এর আবাসন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। পরিবারের সদস্য বলতে স্ত্রী এবং দুই সন্তান। বড় ছেলে গুরুগ্রামে কাজ করে। ছোট ছেলে দাঁতের ডাক্তারি পড়ুয়া। স্বামীকে হারানোর পর মহিলার দাবি, সঞ্জয় ‘অব্যবস্থার বলি’ হয়েছেন। তাঁর স্বামীর ক্যানসার নিয়েও ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ মহিলার। একটি সূত্র মারফত সোমবার জানা যায়, সঞ্জয়ের শরীরে ক্যানসার শেষ ধাপে পৌঁছে গিয়েছিল। সেই তথ্য অস্বীকার করেছেন তাঁর স্ত্রী। তাঁর দাবি, সঞ্জয়ের ক্যানসার আদৌ শেষ ধাপে পৌঁছায়নি। জিএসটি অফিসারের স্ত্রী বলেন, “এই সব তথ্য ছড়িয়ে সবাইকে চুপ করিয়ে রাখা যাবে না। আমার স্বামী চতুর্থ ধাপের ক্যানসার রোগী ছিলেন না। আমার কাছে প্রমাণ আছে। যা কিছু হয়েছে, তার জন্য ‘অব্যবস্থা’ দায়ী। তদন্ত করা হোক।”
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গাজ়িয়াবাদের রাজেন্দ্রনগরে জিএসটি দফতরে কর্মরত ছিলেন সঞ্জয়। শীর্ষ আদালতে বিভিন্ন মামলা দেখাশোনা করার দায়িত্ব ছিল তাঁর। সঞ্জয়ের মৃত্যুতে সরব হয়েছে কর আধিকারিকদের সংগঠন উত্তরপ্রদেশ রাজ্য কর আধিকারিক সেবা সংঘ। দফতরে কাজের চাপের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে ওই সংগঠন। এক বিবৃতিতে তাদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য কর্মীদের ছুটির দিনেও কাজ করতে বলা হয়। এমনকি কর্মীদের ছাঁটাইয়ের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওই সংগঠনের।