ভিআইপি প্রথার সুযোগ নিয়ে সোনা পাচার করতেন কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও! তদন্তের পর তেমনই দাবি করেছে ডায়রেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। বিমানবন্দরে কী ভাবে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করতেন অভিনেত্রী, তা নিয়ে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কর্নাটক সরকার। কোন কোন জায়গায়, কী ভাবে সেই ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করতেন অভিনেত্রী, তা ইতিমধ্যেই খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
রান্যার বাবা কে রামচন্দ্র রাও কর্নাটক পুলিশের ডিজি। এক জন আইপিএস আধিকারিকের কন্যা হিসাবে বাবার নাম এবং পদমর্যাদাকে কাজে লাগাতেন বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। কোন ভিআইপি প্রথা কাজে লাগিয়ে বিমানবন্দরে নিজের যাতায়াত অবাধ করেছিলেন রান্যা, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। শুধু তা-ই নয়, এই ঘটনায় রান্যার বাবার কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না, তা-ও তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত মুখ্যসচিব গৌরব গুপ্তকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে তদন্তকারী দলকে এক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন:
এই ঘটনায় অভিনেত্রীর এক বন্ধুকেও গ্রেফতার করেছে ডিআরআই। ধৃতের নাম তরুণ কে রাজু। হোটেল এবং ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যবসা রয়েছে তাঁর। সূত্রের খবর, রান্যার সঙ্গে দুবাইয়ে ছিলেন রাজু। তদন্তকারীদের সন্দেহ, এই ব্যবসায়ীই সোনা কিনে অভিনেত্রীকে দিয়েছিলেন। উদ্ধার হওয়া সোনার বারগুলি হাওয়ালা না বিটকয়েনের মাধ্যমে কেনা হয়েছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীদের এক সূত্র জানাচ্ছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিটকয়েন কেলেঙ্কারির সঙ্গে সোনা পাচারকারীদের কোনও যোগসাজশ রয়েছে কি না। সোমবার অভিনেত্রীকে আদালতে পেশ করা হয়। তাঁকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
কন্নড় অভিনেত্রীর সোনা পাচারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্নাটকের রাজ্য রাজনীতিও বেশ সরগরম। শাসক এবং বিরোধীদলের মধ্যে অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের পালা চলছে। বিরোধীদল বিজেপির অভিযোগ, অভিনেত্রীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস। পাল্টা কংগ্রেসের অভিযোগ, অভিনেত্রীর সংস্থার জন্য যে জমি দিয়েছিল বিজেপি, তা নিয়েও তদন্ত করা উচিত। গত ৩ মার্চ দুবাই থেকে ফেরার পথে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন রান্যা। তাঁর বিরুদ্ধে সোনা পাচারের অভিযোগ ওঠে।