Advertisement
E-Paper

এপিক নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান কেন্দ্রের, ফের উত্তপ্ত রাজ্যসভা, কক্ষত্যাগ তৃণমূল-সহ বিরোধীদের

কেন্দ্র সরকার এ বিষয়ে আলোচনা প্রত্যাখ্যান করার পরই প্রতিবাদ, বিক্ষোভে শামিল হয় তৃণমূল, বিজেডি-সহ বিরোধী দলের সাংসদেরা। জ়িরো আওয়ারে বিজেডি এবং তৃণমূল ওয়াকআউট করে।

মঙ্গলবারও এপিক নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্যসভা। ছবি: পিটিআই।

মঙ্গলবারও এপিক নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্যসভা। ছবি: পিটিআই।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৫ ১২:০৫
Share
Save

এপিক (সচিত্র পরিচয়পত্র) নিয়ে মঙ্গলবারও উত্তপ্ত হল রাজ্যসভা। কেন্দ্র সরকার এ বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরই প্রতিবাদ, বিক্ষোভে শামিল হয় তৃণমূল, বিজেডি-সহ বিরোধী দলের সাংসদেরা। জ়িরো আওয়ারে বিজেডি এবং তৃণমূল কক্ষত্যাগ করে। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেডির সাংসদেরা। তার পর বিরোধী দলগুলির বাকি সাংসদেরাও কক্ষত্যাগ করেন।

সোমবারও রাজ্যসভায় এপিক নিয়ে আলোচনা চেয়ে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানায় বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলি ওই দিন এ বিষয়ে আলোচনার জন্য দাবি জোরালো করেন। কিন্তু এপিক নিয়ে বিতর্কে সরকার রাজি হয়নি বলে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। মঙ্গলবারেও সেই একই অভিযোগ তুলে রাজ্যসভা ছাড়লেন বিরোধী সাংসদেরা।

একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটারের বিষয়টি নিয়ে সরব হন তৃণমূলেনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলনেত্রীর সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস-সহ ‘ইন্ডিয়া’র একাধিক বিরোধী দল। সোমবার এপিক-এর বিষয়টি নিয়ে সরব হতেই খড়্গের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার পর বাম দল বাদে সমস্ত বিরোধী সাংসদ কক্ষত্যাগ করেন। সেই দলে ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীও।

সোমবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই এপিক নম্বর বিতর্কে কেন্দ্রের উপর চাপ বৃদ্ধি করার চেষ্টা করেন বিরোধীরা। এ ক্ষেত্রে বিরোধী জোটের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা যায় বাংলার শাসকদল তৃণমূলকে। তার পর বাকি বিরোধী দলগুলিও এপিক নিয়ে আলোচনার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেয়।

একই নম্বরে একাধিক ভোটার রয়েছেন, এমন অভিযোগ প্রথম প্রকাশ্যে আনেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় ভিন্‌রাজ্যের ভোটারদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগের তির ছিল নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপির দিকে। কমিশনের রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে স্মারকলিপি জমা দেয় তৃণমূল।

‘ভূতুড়ে ভোটার’ নিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে যখন বিতর্ক আরও জোরালো হচ্ছে, সেই আবহে কমিশন জানায়, ‘ডুপ্লিকেট’ এপিক নম্বরের সমস্যা সমাধান করা হবে। ‘ডুপ্লিকেট’ এপিক নম্বরের ভোটারদের ইউনিক এপিক নম্বর দেবে কমিশন। ভবিষ্যতে সকল ভোটারের জন্যই ইউনিক এপিক নম্বর পদ্ধতি চালু করা হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যেই প্রাথমিক কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

EPIC Rajya Sabha

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}