Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

Covid-19: দিল্লির ৯০ শতাংশ বাসিন্দার দেহে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি! দাবি সেরো-সমীক্ষায়

ষষ্ঠ দফার সেরো সমীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ২৪ সেপ্টেম্বর। এক সপ্তাহ ধরে ২৮০টি ওয়ার্ড থেকে ২৮ হাজার বাসিন্দার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২১ ২২:২২
Share: Save:

দিল্লির বাসিন্দাদের অনেকেই নিজেদের অজান্তে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা (অ্যান্টিবডি) তৈরি হওয়ায় তাঁরা সেরেও উঠছেন। দেশের রাজধানীতে সাম্প্রতিক সেরোলজিক্যাল সার্ভে (আইজি-জি পরীক্ষা)-র তথ্য বলছে, দিল্লির প্রায় ৯০ শতাংশ বাসিন্দার দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে।

বুধবার দিল্লি সরকারের তরফে ‘ষষ্ঠ সেরোলজিক্যাল সার্ভে (সেরো সার্ভে) রিপোর্ট’ প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, দিল্লির অনেক বাসিন্দার দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। সেই সংখ্যাটি কোনও অবস্থাতেই ৮৫ শতাংশের কম নয়।’’

দিল্লিতে ষষ্ঠ দফার সেরো সমীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ২৪ সেপ্টেম্বর। এক সপ্তাহ ধরে তিন পুরসভার ২৮০টি ওয়ার্ড থেকে থেকে ২৮ হাজার বাসিন্দার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে গত জানুয়ারি মাসে পঞ্চম দফার সেরো সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল ৫৬ শতাংশেরও বেশি দিল্লিবাসীর দেহে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুম্বইয়ে সেরো সমীক্ষাতেও দেখা গিয়েছে অধিকাংশ মানুষের দেহেই তৈরি হয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা। গত বছর জুলাই মাসে দিল্লিতে করোনা সংক্রান্ত ‘প্রথম সেরোলজিক্যাল সার্ভে রিপোর্ট’ জানিয়েছিল, দিল্লির অন্তত ২২.৬ শতাংশ বাসিন্দার শরীরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্ডিবডি তৈরি হয়েছে। তার এক মাস পরে দ্বিতীয় সেরো সমীক্ষার রিপোর্টে জানা যায়, সেখানকার এক তৃতীয়াংশ নাগরিকদের দেহে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তাঁরা কোনও ভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে সেরেও উঠেছেন।

শরীরে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য রক্ত পরীক্ষার নাম সেরোলজিক্যাল টেস্ট। অ্যান্টিবডি হল বিশেষ এক ধরনের প্রোটিন যা শরীরে কোনও জীবাণু প্রবেশ করলে তার বিরুদ্ধে লড়াই করে। ইমিউনোগ্লোবিউলিন-জি বা আইজি-জি নামের অ্যান্টিবডি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। রক্ত পরীক্ষা করে আইজি-জি পাওয়া গেলে বোঝা যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সেরেও উঠেছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy