ভোরবেলায় বাড়ি ফিরে স্ত্রী গুলি করে খুন করলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার। তার পর নিজের মাথায় গুলি চালানোর আগে গুলি চালালেন ভাইপোর বুকেও। তিন জনেরই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেও বেঁচে গিয়েছেন ওই পুলিশ কর্তার তরুণ পুত্র।
মহারাষ্ট্রের পুণের ঘটনা। অভিযুক্ত পুলিশকর্তার নাম ভরত গাইকোয়াড। বয়স ৫৭। অমরাবতীর অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার ভরত। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার ভোরে বাড়ি ফেরার পর সাড়ে ৩টে নাগাদ স্ত্রী মনি গাইকোয়াডের (৪৪) মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালান তিনি। গুলির শব্দ পেয়ে ছুটে এসে দরজা খোলেন ভরতের ভাইপো দীপক (৩৫) এবং পুত্র। তদন্তকারী পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, তাঁদের দেখামাত্রই আবার গুলি চালান ভরত। এ বার গুলি লাগে দীপকের বুকে।
আরও পড়ুন:
-
কলেজের শৌচালয়ে ছাত্রীর ভিডিয়ো তোলার অভিযোগ, চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি ফিরল কর্নাটকে
-
সীমার পরিচয় যাচাই করতে দিল্লির পাক দূতাবাসে পাঠানো হল তাঁর নথি
-
নিজস্বী তুলতে গিয়ে বিপত্তি, অজন্তার কাছে জলপ্রপাতে পড়ে গেলেন যুবক
-
‘দুর্নীতির প্রমাণ’ লাল ডায়েরি বিধানসভার অন্দরে ছিনতাই! অভিযোগ রাজস্থানের বরখাস্ত মন্ত্রীর
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রী এবং ভাইপোকে খুন করার পরই নিজের মাথাতেও গুলি চালান অমরাবতীর অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার ভরত। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তিন জনের মৃত্যু হয়। তবে ভরতের পুত্র তাঁর বাবার ছোড়া গুলিতে জখম হননি।
কেন ওই পুলিশকর্তা হঠাৎ এই কাজ করলেন, তার কারণ স্পষ্ট নয় এখনও। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওই পুলিশকর্তার প্রতিবেশী এবং তাঁর পুত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের পর্বও শুরু হয়েছে।